মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল বাঁকুড়ায়। দুই শিশুকে ঘুম পাড়িয়ে মাঠে ধান কাটতে গিয়েছিলেন পরিযায়ী শ্রমিক বাবা ও মা। বাড়ি ফিরতেই সব শেষ হয়ে গেল। বাড়িতে আগুন লেগে মৃত্যু হল দুই শিশু কন্যার। ঘটনাটি বাঁকুড়ার ইন্দাস থানার অন্তর্গত নাররা গ্রামে। মৃত দুই শিশু কন্যার নাম পূর্ণিমা শবর (১) এবং সুস্মিতা শবর (৩)। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শোকে পাথর শিশুꦿর পরিবার। বিষয়টি জানতে পেরে শোক প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা জানতে চেয়ে রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশনের কাছে রিপোর্ট চাওয়ার জন্য আর্জি জানিয়েছে💎ন বিরোধী দলনেতা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়ি থানꦐার অন্তর্গত মাকড়ভোলা গ্রামের বাসিন্দা ধনঞ্জয় শবর। তিনি পেশায় একজন পরিযায়ী শ্রমিক। পেটের টানে তাঁর স্ত্রী ও পাঁচ বছরের এক শিশু পুত্র এবং দুই শিশু কন্যাকে নিয়ে নাররা গ্রামে মাঠে ধান কাটার কাজ করতে এসেছিলেন। তাঁরা মোট পাঁচটি পর🧸িবার এই এলাকায় ধান কাটতে এসেছিলেন। এর জন্য গ্রামে মাঠের মাঝে খড়ের ছাউনি দিয়ে একটি ঝুপড়ি করে সেখানে থাকতেন। অন্যের জমিতে ধান কাটার কাজ করতেন। অন্যান্য দিনের মতো এদিনও ধনঞ্জয় শবর ও তাঁর স্ত্রী রান্না করে সন্তানদের খাইয়ে ধান কাটার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েছিলেন। দুই শিশু কন্যা ঘরের ভেতর ঘুমোচ্ছিলেন। হঠাৎই বুধবার সকালে খড়ের ছাউনিতে আগুন লেগে যায়। স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু ততক্ষণে দুই শিশু কন্যা আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায়।
এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে আসে মৃত দুই শিশু কন্যার পরিবার সহ অন্যান্য পরিবারগুলিতে। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ইন্দাস থানার পুলিশ। বিষ্ণুপুর এসডিপিও কুতুবুদ্দিন খানও ঘটনা𓆏স্থলে পৌঁছন। পুলিশ দুই শিশু কন্যার মৃতদেহ উদ্ধার করে বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। তবে কীভাবে ওই ঘরে আগুন লাগল? গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইন্দাস থানার পুলিশ।