মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থী কিশোরের সঙ্গে সংসার পাততে নিজেকে নবম শ্রেণির ছাত্রী বল𒅌ে পরিচয় দিয়েছিলেন দুই সন্তানের জননী। যদিও যুবতীর বয়স ২৮ বছর। কিন্তু স্লিম ফিগারে ওই যুবতীকে এক নজরে দেখে বোঝার উপায় নেই। সেই সুযোগকে ষোলো আনা কাজে লাগিয়ে ১৭ বছরের কিশোরের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করছিলেন। তিন মাস প্রেমের জোয়ারে এভাবেই ভাসাভাসি চলেছে। কিন্তু, ওই কিশোরের বাড়িতে যুবতী পা রাখতেই সব লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল! যুগলকে সোজা ময়না থানায় হাজির করেন কিশোরের পরিবারের সদস্যরা। তারপর পুলিশের মধ্যস্থতায় দু’জনকে তাঁদের অভিভাবকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছিল? ময়না থানার পরমানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিদাসপুর গ্রামে ওই কিশোরের বাড়ি। এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে। আর পিংলা থানার কুচইপুর গ্রামে যুবতীর ✃বাড়ি। বাড়িতে স্বামী ও দুই সন্তান আছে। এই দুই গ্রামের মাঝে একটি বড় বাজার আছে। এই বাজারে তাঁদের আলাপ হয়েছিল। তারপর ফোনে তাঁদের দুরন্ত কথোপকথন প্রেমকে সুদৃঢ় করে। স্বামী ও দুই সন্তানকে ছেড়ে দিয়ে ওই যুবতী মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সঙ্গে সংসার পাতার পরিকল্পনা করেন। তারপর হঠাৎ তিনি হরিদাসপুর গ্রামে ওই কিশোরের বাড়িতে হাজির হন। তখন প্রকাশ্যে আসে যুগলের প্রেম–কাহিনী। ওই যুবতী প্রেমিককে বলেছিল♚েন, ‘আমি নবম শ্রেণির ছাত্রী।’
তারপর ঠিক কী ঘটল? ওই যুবতীর বয়স তার প্রেমিক বুঝতে ব্যর্থ হলেও পরিবারের সদস্যদের ভুল হয়নি। তখন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য এবং ভিলেজ পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়। আর যুবতী ও তার প্রেমিককে সোজা ময়না থানায় হাজির করা হয়। ময়না থানার ওসি যুবতীর পরিবারের সদস্যদের ডেকে পাঠান। সেখানের পঞ্চায়েত প্রধান এবং ⛎আরও কয়েকজন থানায় পৌঁছন। পুলিশের উপস্থিতিতে শুরু হয় বৈঠক। দু’পক্ষ মুচলেকা দেয়। তাতে উল্লেখ করা হয়, ছেলের বয়স ২১ হয়নি। তাই এখনই ছেলের বিয়ে দেওয়া যাবে না। আর ওই যু♔বতীর বাড়িতে দুই সন্তান ও স্বামী নিয়ে তিনি নিজের সংসারে ম🔴ন দেবেন।