জলমগ্ন রাস্তায় পাশ থেকে হুশ করে বেরিয়ে গিয়েছিল গাড়ি। ভারসাম্য রাখতে না পেরে বাতিস্তম্ভের সুইচে হাত পড়ে যাওয়ায়, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল দুই কিশোরীর। বুধবার মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দমদমের বান্ধবনগরে। টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল রাস্তা। এখান থেকে যেতে গিয়ে এই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মৃত্যু হল দুই কিশোরীর। দক্ষিণ দমদম পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর সুরজিৎ রায়চৌধুরী দুই কিশোরীর মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন। মৃত এই দুই কিশোরীর নাম শ্রেয়া বণিক (১২) ও অনুষ্কা নন্দী (১৩)।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় সৌন্দর্যায়নের জন্য লাগানো অনুচ্চ বাতিস্তম্ভগুলির সুইচ বক্স খোলা অবস্থায় ছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই এলাকার অধিকাংশ বাতিস্তম্ভ এইভাবে বিপজ্জনকভাবে খোলা অবস্থায় রয়েছে। সাধারণত প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় বাতিস্তম্ভ গুলোর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা থাকে। কিন্তু এক্ষেত্রে অভিযোগ উঠেছে, প্রশাসনের চূড়ান্ত অবহেলার জন্য ভারী বৃষ্টিপাতের পরেও বাতিস্তম্ভগুলো থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়নি। তারি মাশুল গুনতে হলো এই দুই কিশোরীকে। প্রত্যক্ষদর্শিরা জানিয়েছেন, এদিন বান্ধবনগরের রাস্তার ধার দিয়ে যাচ্ছিল তারা। জলে ডুবে গিয়েছিল গোটা রাস্তা। সেই সময় ওই দুই কিশোরীর পাশ থেকে একটি গাড়ি বেরিয়ে যায়। তারপরেই আর টাল সামলাতে পারেনি তারা। ভারসাম্য বজায় রাখতে না পেরে রাস্তার ধারে পড়ে যায় দু'জনে। ওই দুই কিশোরীর মধ্যে থেকে একজনের হাত গিয়ে লাগে রাস্তার ধারে থাকা বাতিস্তম্ভের খোলা সুইচে। পাশাপাশি থাকায়, তখনই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় দু'জনের। এ প্রসঙ্গে সুরজিৎবাবু শোক প্রকাশ করে বলেন, 'দুর্ঘটনার উপর কারো হাত নেই । দমদমের নিকাশি ব্যবস্থা বাগজোলা খালের উপর নির্ভরশীল। জল না নামা পর্যন্ত কিছু করার উপায় নেই। ওই দুই কিশোরী অত্যন্ত গরিব পরিবারের সন্তান শুনে খুবই খারাপ লাগছে সমবেদনা জানানো ছাড়া আর কিইবা করার আছে।'স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাগজোলা খাল সংস্কারের কোনও উদ্যোগ নেই প্রশাসনের। সে কারণে অহরহ দুর্ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে।