মাঝ সমুদ্রে ট্রলারডুবি হোক অথবা বাংলাদেশের জলসীমায় মৎস্যজীবীদের ট্রলার ঢুকে পড়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। এই অবস্থায় গভীর সমুদ্র থেকে মৎস্যজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ নিরবিচ্ছিন্ন রাখার জন্য ট্রলারে অত্যাধুনিক ‘টু ওয়ে এমএসএস ট্রান্সপন্ডার’ ꦏযন্ত্র বসানোর কথা আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। সেইমতোই মৎস্যজীবীদের ট্রলারে এই যন্ত্র বসানো শুরু হল। কীভাবে এই যন্ত্র পরিচালনা করতে হবে তা নিয়ে ট্রলার মালিকদের আগেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এই যন্ত্রের মাধ্যমে মৎস্যজীবীরা দুর্যোগের সময় ট্রলার থেকে লিখিত বার্তা পাঠাতে পারবেন।
আরও পড়ুন: সাবমেরিনের ধাক্কায় সমুদ্রে তলিয়ে গেল মৎ❀স্যজীবীদের ট্রলার, উদ্ধার ১১, নিখ🅺োঁজ ২
ইসরোর প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই যন্ত্রকে অত্যাধুনিক করা হয়েছে। আগে ট্রলারগুলিতে জিপিএস বা অন্য একটি যন্ত্র থাকতো। তবে সেগুলি খারাপ হয়ে গেলে মেরামতি করতে সমস্যা হতো। তাই ট্রলারে এই যন্ত্র বসাতে বলা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের যোগাযোগের জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে একটি অফিস গড়ে তোলা হবে। সেই অফিস থেকে লিখিত বার্তা পাঠাতে পারবেন মৎস্যজীবীরা। অর্থাৎ তথ্য আদান প্রদান করা যাবে। এর পাশাপাশি মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমেও এই যন্ত্র কাজ করবে। মৎস্যজীবীদের কোনও ট্রলার ভারত বাংলাদেশ জন🍸সীমা পার করার চেষ্টা করলে সে বিষয়টিও ধরা পড়বে এই যন্ত্রে।
জানা গিয়েছে, এই যন্ত্রে রয়েছে বিশেষ সেন্সর। তাছাড়া দ্রাঘিমাংশ এবং অক্ষাংশ ধরে জিও ফেন্সিং করা থাকবে। তাতে কো⛄নও ট্রলার জলসীমা লঙ্ঘন করলেই কেন্দ্রীয় অফিসে অ্যালার্ম বেজে উঠবে। তখন তারা মৎস্যজীবীদের সতর্ক করতে পারবেন।
প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে ৫০০টি যন্ত্র বসানো হবে ট্রলারগুলিতে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি যন্ত্র বসবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৎস্যজীবীদের ট্রলারে। সেখানে বসানো হবে ৩০০ টি যন্ত্র আর বাকি ২০০টি যন্ত্র বসানো হবে পূর্ব মেদিনীপুরে মৎস্যজীবীদের ট্রলারে। এরপর অন্যান্য ট্রলারগুলিতেওဣ একইভাবে এই যন্ত্র বসানো হবে।
জানা যাচ্ছে, আগের থেকে এই যন্ত্র অনেক উন্নত মানের। নামখানা, কাকদ্বীপ, পাথরপ্রতিমা প্রভৃতি এলাকায় মৎস্যজীবীদের ট্রলারে এই যন্ত্র বসানো হয়েছে। মৎস্যজীবীদের একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে একজন জানান, সরকারের তরফে এই যন্ত্র বসানোর জন্য তাদের অনুরোধ করা হয়েছে। এর জন্য খরচ সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে। এই যন্ত্র বসানো হলে ট্রলারের অবস্থান জানা যাবে। তাছাড়া বিপদ সংকেত পাওয়া যাবে। মালিকদের পাশাপাশি অফিসাররাও জানতে পারবেন অবস্থান। এর মোবাইল অ্যাপও আছে। আগেও ট্রলারে জিপিএস বসানো থাকতো বা অন্য এক ধরনের যন্ত্র থাকত। তবে সেগুলি মেরামতের জায়গা ছিল ꧒না। তবে নতুন যন্ত্র বসলে সকলেই উপকৃত হবেন।