আগামী সেপ্টেম্বরে ইতিমধ্যে রাজ্যজুড়ে তিনদিন সার্বিক লকডাউনের ঘোষণা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কিন্তু কেন্দ্রের আনলক-৪ সংক্রান্ত নির্দেশিকার পর সেই লকডাউন নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছে।গত বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে আগামী ৭, ১১ এবং ১২ সেপ্টেম্বর রাজ্যে সম্পূর্ণ লকডাউন হবে। জুলাইয়ের শেষের দিক থেকেই সেভাবেই সাপ্তাহিক লকডাউনের পথে হেঁটেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কিন্তু মমতা প্রশাসনের সেই পরিকল্পনায় এবার বাধ সেধেছে কেন্দ্রের কড়া নির্দেশিকা।চতুর্থ পর্যায়ের আনলকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, আগেভাগে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া কনটেনমেন্ট জোনের বাইরে কোথাও লকডাউন ডাকতে পারবে না কোনও রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। অমিত শাহের মন্ত্রকের এক কর্তা জানিয়েছেন, আনলক-৪ থেকে স্থানীয়ভাবে কোনও লকডাউনের (সাপ্তাহিক লকডাউন বা জেলাভিত্তিক লকডাউন বা রাজ্যভিত্তিক লকডাউন) জন্য রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে কেন্দ্রের অনুমতি নিতে হবে।চতুর্থ দফার আনলক তথা ১ সেপ্টেম্বর থেকেই সেই নিয়ম কার্যকর হতে চলেছে। ফলে সেপ্টেম্বরে তিনদিন লকডাউনের জন্য দিল্লির অনুমতি দিতে হবে নবান্নকে। অর্থাৎ কেন্দ্রের উপর নির্ভর করছে, সেপ্টেম্বরে রাজ্যে আদৌও লকডাউন হবে কিনা? হলেও ক'দিন হবে?কিন্তু বিভিন্ন জেলার করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার কেন নিজে থেকে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না? স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ওই কর্তার দাবি, 'কোনও যুক্তি ছাড়াই এই ধরনের লকডাউন অর্থনৈতিক গতিবিধিতে ব্যাঘাত ঘটায়।' ফলে এবার কেন্দ্রকে লকডাউনের সেই 'যুক্তি' বোঝাতে হবে নবান্নকে। এমন একটা সময়, যখন দেশে টানা তিনদিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭৫,০০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে।বিষয়টি নিয়ে নবান্নের তরফে এখনও কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে সম্প্রতি নরেন্দ্র মোদী সরকারের ‘জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার‘ প্রবণতা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে মুখ খুলেছিলেন, তাতে কেন্দ্রের নয়া নির্দেশিকায় সেই চাপানউতোর আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের।