𓄧 অব্যবহৃত জমিতে যাতে নয়া শিল্প গড়ে তোলা যায়, সেজন্য পদক্ষেপ শুরু করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রাজ্য সরকারের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, যে কারখানাগুলি বন্ধ হয়ে গিয়েছে, সেগুলির জমি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। সেগুলিকে নয়া শিল্পের জন্য ব্যবহার করা হবে। বিনিয়োগকারীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। আবার অনেক সংস্থা শিল্পের জন্য যে পরিমাণ জমি নিয়েছিল, সেটার পুরোটা কাজে লাগাতে পারেনি। নয়া শিল্প গড়ে তোলার জন্য সেই জমিও ব্যবহার করা হবে বলে নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে। রাজ্য সরকারি আধিকারিকদের দাবি, এই প্রথমবার পশ্চিমবঙ্গে এরকম পদক্ষেপ করা হল। তার ফলে রাজ্যের ল্যান্ডব্যাঙ্ক আরও বড় হবে। বেশি বিনিয়োগের সুযোগ মিলবে। আর কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন রাজ্য সরকারি আধিকারিকরা।
🗹আর সেই পুরো পরিকল্পনার বিষয়টা জানিয়েছেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজা। বৃহস্পতিবার বাণিজ্য গোষ্ঠী কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির (সিআইআই) আয়োজিত 'ওয়েস্ট বেঙ্গল: পয়েসড টু লিড' সম্মেলনে তিনি জানান, রাজ্যে যাতে বিনিয়োগ আসে, তা নিশ্চিত করতে কোনও কসুর ছাড়ছে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সেটার পথে যাতে জমি অন্তরায় না হয়ে দাঁড়ায়, সেজন্য গত এক বছরে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে রাজ্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ করেছে বলে দাবি করেছেন শিল্পমন্ত্রী।
✱তিনি জানিয়েছেন, গত কয়েক বছরে ন'টি শিল্পপার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। ওই ন'টি পার্কে শিল্প গড়ে তোলার জন্য মোট ১,৭৩৯ একর জমি বরাদ্দ করা হয়েছে। রাজ্যে অব্যবহৃত জমিও আছে বলে দাবি করেছেন শিল্পমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, পশ্চিম বর্ধমানের ঢাকেশ্বরী মিলের ১৯৩ একর জমি রয়েছে। দুর্গাপুরে ১৩২ একর জমি আছে। পশ্চিম বর্ধমানেরই মঙ্গলপুরে ৩১০ একর জমি আছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী।
💛শুধু তাই নয়, শিল্পমন্ত্রী জানিয়েছেন, শিল্পের জন্য পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতায় প্রায় ৩৫০ একর জমি রয়েছে। তাছাড়া বেলুড়ের কাছেও নেসকোর ৬৯ একর জমি আছে। সবমিলিয়ে রাজ্যে অব্যবহৃত জমির (বন্ধ কারখানার জমি ও সচল কারখানার অব্যবহৃত জমি মিলিয়ে) পরিমাণ ১,০৫৪ একরের কাছাকাছি বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী।