দীর্ঘ টালবাহানার পর শনিবার ইন্টারভিউ তালিকা প্রকা🧜শের ঘোষণা করা হয়েছে। শূন্যপদের সংখ্যা অবশ্য জানায়নি স্কুল সার্ভিস কমিশনের। তবে সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, উচ্চ প্রাথমিকে ১৪,০০০ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এবারের পুজোর আগেই সেই প্রক্রিয়া শেষ হবে।
কয়েক বছর ধরে আইনি জটে ঝুলে ছিল উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া। তারইমধ্যে গত ১১ ডিসেম্বর উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়াকে অবৈধ হিসেব ঘোষণা করে তা বাতিল করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য নির্দেশ দেন, নয়া বছরের ৪ জানুয়ারি থেকে তথ্য যাচাইয়ের কাজ শুরু করতে হবে। ২০১৬ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী করতে হবে সেই কাজ। তারপর আগামী বছরের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। দ্রুত নিয়োগের লক্ষ্যে সেই রায়ের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে𝓀 না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। হাইকোর্টের নির্দেশ মতো শুরু হয় উচ্চ প্রাথমিকের নথি যাচাই বা ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া। তারপর গত শনিবার ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশের ঘোষণা করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। তার জেরেই স্বভাবতই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, তাহলে কি আদৌও ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে?
সেই বিষয় নিয়ে কোনও মন্তব্য না করলেও সোমবার মুখ্যমন্ত্রী জানান, পুজোর আগেই উচ্চ-প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া সেরে ফেলা হবে। পুজো এবার অক্টোবরে পড়েছে। সেইসঙ্গে তিনি জানান, মামলা চলার কারণে দীর্ঘদিন নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে ছ🧸িল। কড়া বার্তা দেন যে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও লবিবাজি চলবে না। তিনি বলেন, ‘তাঁদের (শিক্ষকদের) মেধাই, তাঁদের পরিচয়। এ নিয়ে কারও কাছে লবি করার কোনও প্রয়োজন নেই। তাঁদের মেধাই তাঁদের সবথেকে পরিচয়। যাঁরা পরীক্ষা দিয়েছেন, পরীক্ষায় পাশ করেছেন, পাওয়ার অধিকারী, কোর্টে কেস চলছিল বলে এতদিন আটকে ছিল।’