সরকারি আদেশ এসেছে। বদলির চাকরি। এবার ঝাড়গ্রামে মহকুমা শাসকের দফতরে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের পদ সামলাতে হবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগর ২ নম্বর ব্লকের বিডিও অর্ঘ্য ঘোষকে। যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। কিন্তু তাঁকে যেতে দিতে চান না গ্রামবাসীরা। তাঁদের মতে, অনেকে প্রতিশ্রুতি দিলেও সত্যিকারের ‘কাজের মানুষ, কাছের মানুষ’ পাওয়া কঠিন। তাই তাঁরা অর্ঘ্যবাবুকে হারাতে চান না। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এক বছরও হয়নি এই ব্লকের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। তার আগেই এই বদলি মানা যায় না।শুক্রবার সকালে বদলির খবর পেয়েই স্থানীয় গ্রামবাসীদের ভিড় জমে যায় রামনগর ২ ব্লকের বিডিও অফিসের সামনে। ঘণ্টা চারেক প্ল্যাকার্ড হাতে চলে বিক্ষোভ অবস্থান। তার জেরে বিডিও–র গাড়িও আটকে পড়ে। করোনা পরিস্থিতিতে এই জমায়েত উচিত নয়, তা ছাড়া অবস্থা বেগতিক হতে পারে এই আশঙ্কায় ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রামনগর থানার পুলিশ। তাঁদের দাবি জেলাশাসককে লিখিত আকারে জানাতে বললে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।কিন্তু সরকারি এক আধিকারিকের প্রতি এই উপচে পড়া ভালবাসার কারণ কী? গ্রামবাসীরা মনে করিয়ে দেন আমফানের কথা। তাঁদের মধ্যে একজন বলেন, ‘সে সময় যেভাবে বিডিও আমাদের জন্য করেছেন তা ভোলার নয়। লকডাউনে না খেতে পারা মানুষের পাশেও দাঁড়িয়েছেন অর্ঘ্যবাবু।’ গ্রামবাসীদের মতে, তিনি আরও কিছুদিন থাকলে এলাকার অভূতপূর্ব উন্নতি হত।তবে তিনি যে নিরুপায় এ কথা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন অর্ঘ্য ঘোষ। তিনি বলেন, ‘উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মেনে তো আমাকে অন্যত্র যেতেই হবে। এভাবে কাউকে আটকানোও যায় না।’ জানা গিয়েছে, তাঁর জায়গায় আসছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির বিডিও বিপ্রতিম বসাক।