স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবিতে জোরদার হচ্ছে আন্দোলন। জেলায় জেলায় চলছে বিক্ষোভ। পড়ুয়া-অভিবাবকরা তো বটেই, স্কুল খোলার দাবিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক-অধ্যাপিকারাও আন্দোলনে নেমেছেন। অফলাইনে পঠন-পাঠন চালু করার দাবিতে ছাত্র-ছাত্রীদের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে শুক্রবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীদের ধস্তাধস্তি হয়। আর তারপরেই আংশিক খুলে দেওয়া হল বিশ্বভারতী💎 বিশ্ববিদ্যালয়। ক্যাম্পাস আংশিক খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত দফতর, ভবন খোলার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপশি অধ্যাপক, অধ্যাপিকা এবং কর্মীদের নির্দিষ্ট সময়ে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে পড়ু👍য়াদের ক্লাস অনলাইনে হবে বলেই নির্দেশ দিয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই বিক্ষোভ বিজ্ঞপ্তিতে সন্তুষ্ট নন পড়ুয়ারা। তাদের দাবি অফলাইনে ক্লাস করাতে হবে।
গতকাল শুক্রবার অফলাইনে ক্লাস চালু করার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে বিক্ষোভ করে বাম সমর্থিত ছাত্র সংগঠন এসএফআই। বহু পড়ুয়া এই বিক্ষোভে সামিল হোন। তাদের দাবি ছিল, অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে অফলাইনে পঠন-পাঠন চালু করতে হবে। বেশ কিছুক্ষণ চলা বিক্ষোভ চলার সময় নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে পড়ুয়াদের💯 ধস্তাধস্তি হয়। যার জেরে বেশ কয়েকজন পড়ুয়া আহত হয়েছেন।
বিক্ষোভ কর্মসূচির মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি জমা দেন পড়ুয়ারা। এরপরেই বিশ্ববিদ্যালয় আংশিক খোলার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। যদিও কোভিড পরিস্থিতির কারণে এখনও স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, যেখানে অন্যান্য সব কিছু খোলা থাকছে তাহলে ক✃েন স্কুল,কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের অফলাইনে পড়াশোনা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।