একবার কুরুচিপূর্ণ ভাষায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তখন উপাচার্য চিঠি লিখে অপমানজনক কথাবার্তা পেশ করেছিলেন। এবার মেয়াদ শেষের আগের দিনও আজ, মঙ্গলবার নজিরবিহীন ভাষায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঁচ পাতার ব্যঙ্গাত্মক চিঠি লিখে প🍌াঠালেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করতে ‘চারিত্রপূজা’, ‘কর্মী রবীন্দ্রনাথ’, ‘শান্তিনিকেতনের স্মৃতি’—এই বইগুলির কথা তুলে ধরলেন উপাচার্য। আর মুখ্যমন্ত্রীর অপরাধ বলতে—অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়ানো, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম ফলকে না থাকার প্রতিবাদ করা।
এই ফলক বিতর্ক নিয়ে শান্তিনিকেতনে ধরনা–বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই আন্দোলনের আজ, মঙ্গলবার ১২ দিনে পড়ল। গত ১৭ সেপ্টেম্বর শান্তিনিকেতনকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’ তকমা দিয়েছে ইউনেস্কো। তারপরই শ্বেতপাথরের তিনটি ফলক বসিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। যে ফলকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম রয়েছে। অথচ নেই স্বয়ং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম। এটা নিয়েই সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে আজ যখন এই চিঠি পাঠালেন উপাচার্য তখন ꦑওখান থেকেই তাঁকে ভণ্ড উপাচার্য, মেয়াদ বাড়াতে বিজেপি হওয়ার চেষ্টা করছেন বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অনুপম হাজরা।
আগামীকাল ৮ নভেম্বর শেষ হচ্ছে উপাচার্য꧑ বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর চাকরির মেয়াদ। তার আগে আজ উপাচার্য আবার মুখ্যমন্ত্রীকে পাঁচ পাতার চিঠি লিখে পাঠান। চিঠিতে উপাচার্য সরাসরি লেখেন, ‘আপনার রবীন্দ্রপ্রীতি দেখে বিশ্বের আপামর সাহিত্য অনুরাগীর মতো আমিও মুগ্ধ। অবাক হই! রাজনীতির সবচেয়ে ব্যস🎐্ত মানুষ হয়েও আপনি কীভাবে সাহিত্য সৃষ্টিতে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। আমার জানা নেই যে, কেউ আপনার মতো এত গুণসম্পন্না আছেন কিনা? আপনার সাহিত্য খুব সহজেই কেন স্বীকৃতি পায়, তা সহজেই বোধগম্য। আপনার অঙ্কন প্রতিভা আমার মতো ক্ষুদ্র মানুষের কাছে অবাক হওয়ার জন্য যথেষ্ট। আপনাকে জানাই কুর্নিশ।’ হঠাৎ এগুলি লিখলেন কেন? এখন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
আরও পড়ুন: অভিষেক বꦓন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিনে বাড়ির সাম📖নে ভিড়, অনুরাগীদের ছোঁয়ায় ভাসলেন নেতা
তবে এখানেই শেষ নয়। পাঁচ পাতার ছত্রে ছত্রে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে উপাচার্য চিঠিতে আরও লেখেন, ‘সবশেষে বিশ্বভারতীতে পরিবর্তন হচ্ছে। তাই যারা তার থেকে ফায়দা নিতেন, তারা ভীত এবং প্রদীপ নিভে যাওয়ার আগে যেমন দপ করে জ্বলে ওঠে তারা এবার শেষ কামড় দিচ্ছেন।’ নিজের মেয়াদ শেষ হওয়ার জ্বালা বোধহয় এভাবেই ꧃মেটালেন উপাচার্য বলে মনে করছেন অনেকে। তবে এই চিঠির তীব্র প্রতিবাদ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অসিত মাল বলেন, ‘শেষ দিন পর্যন্ত বিশ্বভারতীকে যতরকমভাবে পারছেন কলঙ্কি🌸ত করছেন। উনি একজন নোংরা উপাচার্য। বিশ্বভারতীর মানকে যেমন করে নামাচ্ছেন তার তুলনা নেই। তাঁর লেখা এই চিঠিকে ধিক্কার জানাই।’