𓄧নানা চেষ্টা করেও ছাত্র আন্দোলন ঠেকাতে পারেনি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ছাত্তছাত্রীদের একটা বন অংশ নানা দাবিতে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাই দেয়নি। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বিশ্বভারতী আক্ষরিক অর্থে দুর্নীতির আখড়াতে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন খোদ উপাচার্য। এমনকী আজ তিনি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে একটি চিঠি আপলোড করেছেন।
ঠিক কী লিখেছেন উপাচার্য চিঠিতে? বিশ্বভারতীর ওয়েবসাইটে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী তিন পাতার চিঠি আপলোড করেছেন। সেখানে উপাচার্য অভিযোগ করেছেন, ‘বিশ্বভারতী দুর্নীতির আখড়া। সম্প্রতি এক ছাত্রকে এখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যিনি গবেষণার নামে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এখানকার প্রাক্তন ভাইস চ্যান্সেলর একটি অভিযোগে সিবিআইয়ের সম্মুখীন হয়েছিলেন। দোষী প্রমাণিতও হয়েছেন। রবিভূমি থেকে চুরি হয়েছে নোবেল পুরষ্কারও। এতেই বোঝা যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলার অবনতির কথা! এমনকী প্রাক্তন ভাইস চ্যান্সেলর ইসি মিটিংয়েও অংশ নেননি। কর্মসম🌠িতি বসন্ত উৎসব করতে দেয়নি। বিশ্বভারতীতে অনেক 🍷নিয়োগই নিয়ম মেনে হয়নি। ছাত্র ভর্তির ক্ষেত্রেও রয়েছে দুর্নীতি।’
হঠাৎ উপাচার্য এমন চিঠি লিখলেন কেন? বিশ্বভারতীর অনেকে বলছেন, গোটা ঘটনায় নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে উপাচার্য দৃষ্টি ঘোরꦆাতে চাইছেন। তাই এই চিঠি লিখেছেন। তবে তাঁর এই চিঠি লেখার একটাই উদ্দেশ্য বলে উল্লেখ করেছেন। সেই উদ্দেশ্যটি হল, দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মীদের বিরুদ্ধে সরব হওয়া। আর বিশ্বভারতী যাতে আগের অবস্থায় ফিরে আসে।
এখন প্রশ্ন উঠছে, এই চিঠি কার উদ্দেশ্যে? যদি তাঁর কাছে এইসব অভিযোগের প্রমাণ থাকে, তাহলে তিনি কেন চিঠি কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকে লিখে জানালেন না? এখন যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে সꦛ্থগিত রাখা হয়েছে মাধ্যমিক–উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাও। বরং চিঠির শেষে উপাচার্য লেখেন, ‘আমি এখানে একটা সত্যের উপস্থাপনা করলাম। যদি কেউ অমত হন, তাহলে আমাকে প্রকাশ্যেই চ্যালেঞ্জ করতে পারেন। অবশ্য🐲ই প্রমাণ–সহ।’