হাতির হানায় দুই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। আজ, বুধবার ঝাড়গ্রাম জেলায় এই ঘটনা ঘটে। দুর্গাপুজোর আগে এমন ঘটনায় শোকের ছায়া নেম💝ে এসেছে দুই পরিবারে। তাই মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঝাড়গ্রামে স্বজনহারা এই দুটি পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহাꦫয্যের প্রতিশ্রুতি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে পরিবারের পাশে থাকা এবং যা লাগবে তা দেওয়ারও বার্তা দিলেন তিনি। আজ, বুধবার সকালে হস্তি শাবকের মৃত্যুর ঘটনায় তাণ্ডব চালায় মা হাতি। আর সেই তাণ্ডবের মধ্যে পড়ে গিয়ে মারা যান দুই বৃদ্ধ। এই ঘটনা গোটা গ্রামে চাউর হতেই ক্ষোভ তৈরি হয় বন দফতরের উপর।
এদিকে তখন সন্তান শোকে তোলপাড় করছে মা হাতি। হস্তি শাবকের মৃতদেহ আগলে রেখে ক্ষেপে ওঠে মা হাতি। আর তারপর ঝাড়্গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম ব্লকের চাঁদাবিলা রেঞ্জের দেউলবাড় গ্রামে তাণ্ডব চালাতে থাকে মা হাতিটি। তখনই ওই দুই ব্যক্তি সামনে পড়ে যাওয়া তাঁদেরকে আছড়ে মেরে ফেলে মা হাতি। এমনকী রাস্তায় উঠে এসে যাত্রীবাহী বাস ও মোটরবাইকে ভাঙচুর চালায় মা হাতি। বনদফতর সুত্রে খবর, মৃত দুই ব্যক্তির নাম সহদর মাহাতো𝓰 (৬০) এবং অনন্ত জানা (৭৩)। তাঁদের দু’জনের বাড়ি বাছুরখোয়া এলাকায়। এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া বাড়িগুলিকেও দ্রুত মেরামতের আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? অন্যদিকে স্থানীয় সুত্রে খবর, আজ সকালে কলাইকুন্ডার দিক থেকে ১৫টি হাতির দল সুবর্ণরেখা নদী পেরিয়ে দেউলবাড় গ্রামে প্রবেশ করে। ওই হাতির দলে একটি শাবক হাতিও ছিল। তারা সম্ভবত খাবারের সন্ধানে এগিয়ে আসছিল। কিন্তু হস্তি শাবকটি নদীর জল পেরিয়ে আসতে না পেরে ডুবে যায়। মা হাতি তখন অনেক চেষ্টা করে শাবকটিকে পাড়ে টেনে তুললেও বাঁচাতে পারেনি। সন্তান মারা গিয়েছে বুঝতে পেরে উদভ্রান্তের মতো ছুটতে থাকে। এই ঘটনা নিজেদের চোখে দেখতে গ্রামের মানুষজন মৃত শাবকের কাছাকাছি ভিড় জমায়। তখন অবশ্য বন দফতর একাধিকবার সর্তক করেছিল বলে খবর। কিন্তু কৌতূহলী মানুষজন সে কথা কানে তোলেননি। ফলে দুর্ঘটনার মুখে পཧড়তে হয়।
আরও পড়ুন: সমাজবাদী পার্টির নেতা আজম খানের সꦯাত বছরের জেল, স্ত্রী–পুত্রও পেল একই স🅷াজা
তারপর ঠিক কী ঘটল? এমন আবহে ক্ষিপ্ত মা হাতিটি আরও ক্ষেপে ওঠে। আর গ্রামে♔র মানুষজনকে তাড়া করে। তখন মানুষজনও দৌড়ে পালাতে চেষ্টা করে। কিন্তু পালাতে পারেননি দুই বৃদ্ধ। তাঁরা মা হাতির সামনে পড়ে যান। আর ওই দ𒅌ুই ব্যক্তিকে শুঁড়ে ধরে আছাড় মেরে শেষ করে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়। এই বিষয়ে খড়্গপুরের ডিএফও শিবানন্দ রাম বলেন, ‘একটি শাবক হাতির মৃত্যুতেই মা হাতি ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। মৃত শাবকটিকে ছাড়তে নারাজ ছিল। ক্ষেপে গিয়ে চারিদিকে ছুটোছুটি শুরু করে। তখন দুই বৃদ্ধ পালাতে পারেননি। মৃত পরিবার দুটিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।’ এই ঘটনায় টুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে লেখেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের ঘটনা ঘটেছে। মা হাতি সন্তান হারিয়ে দু’জন ব্যক্তিকে মেরে ফেলেছে। বাড়ি ভাঙচুর করেছে। ওই দুই পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে সাহায্য দেওয়ার কথা আমি ঘোষণা করছি।’