হা𝓀তে আছে বলতে বছর দেড়েক সময়। তারপরই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন হবে। আর তার জন্য এখন থেকে জেলা সফরে যেতে শুরু করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বড় সাফল্য পেতে গেলে নেতা–কর্মীদের এখন থেকেই কাজে ঝাঁপাতে হবে। আর ঝাড়গ্রাম জেলায় পা রেখেই সেই নির্দেশ দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো বলে সূত্রের খবর। লোকসভা নির্বাচনের পর প্রথম জেলা সফর জঙ্গলমহলে এসেই দলের নেতা–কর্মীদের সকলকে জোট বেঁধে কাজ করার বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রাম পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর এই দীর্ঘ যাত্রাপথের দু’ধারেই মানুষ তাঁকে শুভেচ্ছা জানায়। ডেবরা, খড়্গপুর মোড়–সহ নানা জায়গায় নিজের কনভয় থামিয়ে বহু মানুষের সঙ্গে এবং নেতা–কর্মীদের সঙ্গেও কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের সুখ–দুঃখের কথা শুনতে চান তিনি। ঝাড়গ্রামে পা রেখেই শ্রীরামকৃষ্ণ সারদাপীঠ কন্যা গুরুকুলের আশ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে ঝাড়গ্রাম রাজবাড়িতে গিয়ে আদিবাসী প্রতিনিধি এবং দলের জেলা নেতৃত্বেﷺর সঙ্গে কথা বলেন তৃণমূলনেত্রী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি দুলাল মুর্মু ও অন্যান্যরা।
আরও পড়ুন: ত্রিপুরার♎ পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক হিংসার অভিযোগ, ছাপ্পꦗা–সন্ত্রাসের নালিশ বিরোধীদের
এদিকে জেলা সফর শুরু করে দেওয়ায় তৎপরতা বেড়েছে নেতা–কর্মীদের মধ্যে। এবার ঝাড়গ্রামে এসে দলীয় নেতা–কর্মীদের বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্⛄রীর বার্তা, ‘সংগঠন আরও মজবুত করতে হবে। তার জন্য সকলকে নিয়েই কাজ করতে হবে। সুনিশ্চিত করতে হবে আদিবাসী উন্নয়নও।’ এরপরই নয়াগ্রামের প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস ব্লক সভাপতি উজ্জ্বল কুণ্ডু নেত্রী🍌র কাছে অভিযোগ করেন, তাঁকে দলের কাজে যুক্ত করা হচ্ছে না। তখনই জেলা নেতৃত্বকে নির্দেশ দেন তৃণমূলনেত্রী। এই বিষয়ে দুলাল মুর্মু বলেন, ‘জঙ্গলমহলে তৃণমূল কংগ্রেসের ফল অনেক ভাল হয়েছে। আরও ভাল করতে হবে। এই বার্তাই দিদি দিয়েছেন।’