🌠 রাত পোহালেই শনিবার। আর আগামীকাল সকালে বীরভূমে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন সূত্রে খবর, দু’দিনের এই জেলা সফরে দেউচা পাঁচামি কয়লা খনি প্রকল্পে যাঁরা জমি দিয়েছেন সেইসব জমিদাতাদের হাতে তুলে দেবেন সরকারি নিয়োগপত্র। আর সেখানে একাধিক সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং শিলান্যাস করবেন মুখ্যমন্ত্রী। বীরভূমে তিনিই তৈরি করে দিয়ে এসেছেন কোর কমিটি। আজও সেখানে তাই নেই কোনও স্থায়ী জেলা সভাপতি। তবে কাজল শেখ এখন সামনের সারিতে এসেছেন। তাই একবার সংগঠনের হাল–হকিকতও জেনে নেবেন নেত্রী।
🍨এদিকে সামনে লোকসভা নির্বাচন। যদিও এখনও নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেনি জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তবে প্রস্তুতি পুরোপুরি নিয়ে রাখতে হবে। কারণ এখন অনুব্রত মণ্ডল দায়িত্বে নেই। অর্থাৎ তিনি এখন তিহাড় জেলে। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই জেলা সফরকে কেন্দ্র করে বীরভূম জুড়ে সাজসাজ রব। তাই প্রশাসনের অন্দরে ব্যস্ততা তুঙ্গে। শনিবার অন্ডাল বিমানবন্দর থেকে সড়কপথে শান্তিনিকেতনে পৌঁছবেন মুখ্যমন্ত্রী। শান্তিনিকেতন থেকে একটু এগিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার আমারকুটির রাঙাবিতান সরকারি রিসটেই থাকবেন।
💦অন্যদিকে তারপর রবিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাবেন বীরভূমের জেলার সদর শহর সিউড়িতে। সেখানের চাঁদমারি মাঠে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি কর্মসূচিতে যোগ দেবেন। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা খনি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে দেউচা–পাঁচামি। সেখানে কয়লা খনি প্রকল্পের জন্য জমিদাতারা জমি দিয়েছেন বলে সরকারি নিয়োগপত্র তুলে দেবেন মুখ্যমন্ত্রীও। তারপর সিউড়ি থেকেই আকাশপথে কলকাতা রওনা দেবেন। শনিবার রাঙাবিতানে বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বর সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
আরও পড়ুন: ꧅বাংলার ৭৪৩ জন এলডিএ কর্মীর পদোন্নতি হতে চলেছে, আরও নিয়োগ সরকারি দফতরে
ꦓএছাড়া বিজেপি এখন অনুব্রতর অনুপস্থিতিতে বিজেপি লোকসভা আসন দখল করতে চায়। কিন্তু সেখানে রাজ্য সরকার নানা কাজ করেছে। তাছাড়া রাজ্য সরকারের একের পর প্রকল্প মানুষের জীবনে হাল ফিরিয়েছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। আর কয়েকদিন আগে কালীঘাটে বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠকে কাজল শেখকে তিরষ্কার করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কেষ্টহীন বীরভূম জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটি থেকে বাদ পড়েন কাজল। আর বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক হিসেবে ফিরহাদ হাকিমকে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়। শনিবারের বৈঠক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা নেতৃত্বকে বার্তা দিতে পারেন লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে।