লোকসভা ভোটের আগে বাজেট পেশ করে মৎস্যজীবীদের জন্য বিশেষ চমক রাখল রাজ্য সরকার। মৎজীবীদের জন্য বিশেষ প্রকল্প ঘোষণা করল রাজ্য সরকার, যার নাম হল ‘সমুদ্রসাথী প্রকল্প’। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মৎস্যজীবীদের প্রতি ম🍬াসে ৫০০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে। কোন সময় মৎস্যজীবীদের এই ভাতা দেওয়া হবে সে বিষয়টি নির্দিষ্ট করা হয়েছে বাজেটে। রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপে খুশি মৎস্যজীবীরা।
আরও পড়ুন: ভিনরাজ্য🍃ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন পরিযায়ী শ্রমিক, ঘোষণা বাজেটে
কোন ক্ষেত্রে বা কখন মৎস্যজীবীরা এই ভাতা পাবেন?
সাধারণত প্রতিবছর এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত মাছ ধরার উপরে নিষেধাজ্ঞা থাকে। এই দু’মাস ব্যাপক সমস্যায় পরেন মৎস্যজীবীরা। সেই কথা মাথায় রেখেই বছরে এই দুমাস মৎস্যজীবীদের ভাতা দেওয়া হবে। সে ক্ষেত্রে ওই দুমাস প্রতি মাসে ৫০০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে। এদিন বাজেট পেশ করে অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, এই দু মাস মৎস্যজীবীদের জীবন জীবিকার সমস্যা হয়। অনেক ক্ষতি হয়। তার মধ্য দিয়ে মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে যান। তারা সমস্যায় পড়েন। তাই তাদের সুবিধার কথা ভেবে ওই দুমাস ৫ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে। এরফলে উপকূলবর্তী জেলাগুলির মৎস্যজীবীদের এই সুবিধা দেওয়া হবে বিশেষ করে পূর্ব ꦉমেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৎস্যজীবীদের প্রতিবছর এপ্রিল থেকে জুন মাসের এই দু’মাস ভাতা দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে নথিভুক্ত মৎস্যজীবীরা এই সুবিধা পাবেন। এই প্রকল্পের জন্য ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এর ফলে প্রায় ২ লক্ষ মৎস্যজীবী উপকৃত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
মৎস্যজীবীদের জন্য সমুদ্রসাথী প্রকল্প ঘোষণা করায় খুশি মৎস্যজীবীরা। তাদের জন্য সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে তার জন্য রাজ্য সরকারকে তারা ধন্যবাদ জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, ১৭ হাজার লাইসেন্সভুক্ত ট্রলার এবং মেকানাইজ বোর্ড রয়েছে। মৎস্যজীবীদের বক্তব্য, এই দুমাস সমুদ্রে মাছ ধরার ওপর বিশেষ নিষেধাজ্ঞা থাকায় অনেক মৎস্যজীবী লুকিয়ে গভীর সমুদ্র পাড়ি দেন। তখনꦅ ধরা পড়লে তাদের জরিমানা হয়। এর ফলে তারা খুব সমস্যায় থাকেন। এই অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে এ বিষয়ে সরকারের কাছে আবেদন জানানো হচ্ছিল অবশেষে বাজেটে এই ধরনের প্রকল্প ঘোষণা করার ফলে মৎস্যজীবীরা উপ🍌কৃত হবেন বলেই তারা মনে করছেন।