করোনা আবহে গত দুই বছরই বাতিল হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। এই আবহে আগামী বছরও যে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে, তা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছে না। এই আবহে পরীক্ষা সম্ভব না হলে নতুন পদ্ধতিতে মূল্যায়ন হবে পরীক্ষার্থীদের। জানা গিয়েছে এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। এই বছ🦹র পরীক্ষার ফল প্রকাশ হওয়ার পর অকৃতকার্যরা যেভাবে অরাজকতা ছড়িয়েছেন, তার জেরে পদ খুইয়েছেন প্রাক্তন সংসদ সভাপতি। এই পরিস্থিতিতে মূল্যায়ন পদ্ধতি আরও স্বচ্ছ করার লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত ন♈িয়েছে বর্তমান সংসদ সভাপতি।
গত সোমবার সংসদ সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ 𝕴করেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। দায়িত্ব গ্রহণ করেই তিনি বলেন, 'এই বছর একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা নেওয়া যায়নি। আগামী বছরও এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে উচ্চমাধ্যমিকে কীভাবে মূল্যায়ন হবে তা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছি আমরা। মূল্যায়ন পদ্ধতি আরও স্বচ্ছ ও আধুনিক হবে।'
এর আগে উচ্চ মাধ্যমিক ফল ঘিরে বিতর্কের জেরে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি পদ থেকে মহুয়া দাসকে অপসারিত করা হয়। এই বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরের দিন থেকেই বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সভাপতি মহুয়া দাস। তারপর ফলাফল প্রকা💞শ নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়। ফলে বিতর্ক আরও বেড়ে যায়। প্রথমে বিতর্কের সৃষ্টি হয় যখন তিনি উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম স্থানাধিকারী ছাত্রীর নাম না করে তার ধর্মকে প্রাধান্য দেন। এরপর সবাইকে পাশ না করা🌺নোয় সংসদের সামনে বিক্ষোভ দেখায় অকৃতকার্য পড়ুয়ারা। তাঁর গাড়ি সংসদে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়।
প্রায় ২০ হাজার ছাত্রছাত্রী অকৃতকার্য হয় উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায়। বিক্ষোভ শুরু হয় জেলাজুড়ে। বিক্ষোভের পাশাপাশি ভাঙচুর করা হয় জেলার স্কুলগুলিতেও। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধে অভিযোগপত্র জমা নিয়ে সেগুলিকে রিভিউয়ের মাধ্যমে ১০০ শতাংশ ছাত্রছাত্র💧ীকেই পাশ করিয়ে দেওয়া হয়।