জলপাইগুড়ির ফুলবাড়ি থেকে বৃহস্পতিবার রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের ‘পথশ্রী অভিযান’ প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রকল্পে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ১২ হাজার কিলোমিটার গ্ৰামীণ রাস্তা নতুন করে তৈরি করা হবে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী ফুলবাড়ির রাজগঞ্জ ব্লকের পূর্ব ধানতলা গ্রামে সেই কাজেরই সূচনা করলেন।জানা গিয়েছে, রাজ্য জুড়ে আমফান–সহ বিভিন্ন কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু গ্রামীণ রাস্তা। সেগুলিকে যানবাহন চলার উপযুক্ত করে তোলার জন্যই এই পথশ্রী অভিযানের সূচনা। এই উদ্বোধনের কাজ এদিন থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত জেলায় ১২ হাজার কিলোমিটার রাস্তায় চলবে। এবং চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পূর্ণ কাজ শেষ করে ফেলার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এদিন অনুষ্ঠানমঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপাতত ১২ হাজার কিলোমিটার, পরে আরও গ্রামীণ রাস্তার সংস্কারের কাজ করা হবে।’এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মহাত্মা গান্ধীর ১৫১তম জন্মদিবসের কথা মাথায় রেখে আমরা ১২ হাজার কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তা সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ২০১১–য় ক্ষমতার আসার আগে পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে মোট পাকা রাস্তার পরিমাণ ছিল ৯২ হাজার ২৩ কিলোমিটার। আর তৃণমূলের শাসনকালে মাত্র ৮ বছরে ৩ লক্ষ ১৬ হাজার ৭৩০ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। অর্থাৎ এই ক’বছরে রাস্তা বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ২৪২ শতাংশ। এখন পথশ্রী অভিযানের জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।’এদিকে, পাহাড় ও পিছিয়ে পড়া জনজাতির উন্নয়নের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ অনুদান হিসেবে এদিন মঞ্জুর করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নমঃশূদ্র ওয়েলফেয়ার বোর্ডকে ৩ কোটি টাকার অনুদান দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তরাই ডুয়ার্স ডেভলপমেন্ট অ্যান্ড কালচারাল বোর্ড অনুদান হিসেবে পেল ১০ কোটি টাকা। আদিবাসী ডেভলপমেন্ট অ্যান্ড কালচারাল বোর্ডকে দেওয়া হয়েছে ১০ কোটি টাকা অনুদান। এ পর্যন্ত পাহাড়ের উন্নয়নে জিটিএ ১৫০ কোটি টাকা পেয়েছে। এদিন আরও ২৫ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।