প্রশাসনিক বৈঠকে বাঁকুড়ার প্রশাসনিক আধিকারিকদের থেকে কাজের খতিয়ান নেওয়ার মাঝেই বিষ্ণুপুরের ঐতিহ্য বালুচরি শাড়িকে আরও আকর্ষণ🐲ীয় করার পরা💧মর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এদিন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকে বালুচরি শাড়ির নকশায় নতুনত্ব আনার কথা বলেন।
মঙ্গলবার বাঁকু𒆙ড়া রবীন্দ্র ভবনে প্রশাসনিক বৈঠকে আধিকারিকদের ধমক–চমকের মাঝেই বিষ্ণুপুরের বালুচরি শাড়ির ব্যাপারে জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্প দফতরের সচিব রাজেশ পান্ডের কাছে এ সম্পর্কে খোঁজ নেওয়ার সময় তিনি বলেন, ‘বালুচরি শাড়ি কিন্তু আমাদের ‘জিআই’ প্রোডাক্ট। আগে বালুচরির সিল্ক কড়কড়ে ছিল। আমি বলে বলে হালকা করিয়েছি। কারণ, এখনকার মেয়েরা হালকা শাড়ি পরতেই ভালবাসে।’
এর পরই বালুচরির নকশা পাল্টানোর পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, ‘প্রায় প্রতিটি বালুচরি শাড়িতে একই ধরনের নকশা থাকে। এই নকশা পাল্টাতে হবে। নকশায় নানারকম বৈচিত্র নিয়ে এসো। এ ব্যাপারে বিশে🍸ষজ্ঞ রয়েছেন। তাঁদের𓂃 সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলতে হবে।’ তখনই সংশ্লিষ্ট দফতরের সচিব রাজেশবাবু মুখ্যমন্ত্রীকে জানান, কলকাতায় একটি ডিজাইন সেন্টার করা হয়েছে। সেখান থেকে প্রতি বছর নতুন নকশা পাচ্ছেন তাঁতিরা।
মুখ্যমন্ত্রীর আরও পরামর্শ, আন্তর্জাতিক বাজারে যে🔯 সব নকশার কদর রয়েছে সে সম্পর্কে তাঁতিদের ধারণা দিতে হবে। তা হলে এই শাড়ি বিদেশে বিক্রি করা সম্ভব। একইসঙ্গে এদিন জেলার মৃৎশিল্প, ডোকরা শিল্পের দিকে নজর দিতে আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ সব ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর আগ্রহ এবং উৎসাহ দেখে খুশি বিষ্ণুপুরের অমিতাভ পাল, সোনামুখীর প্রিয়গোপাল পালের মতো বালুচরি শিল্পীরা।