শত্রুঘ্ন সিনহাকে প্রার্থী করে আসানসোলে বাজিমাত করেছে তৃণমূল। এই প্রথম আসানসোল ♑আসনটি তৃ✃ণমূলের দখলে এসেছে। পরপর দুবার এই আসন বিজেপির দখলে ছিল। এবার সেই বিজেপিই ধরাশায়ী হল সবুজ ধসে। কিন্তু ঠিক কোন মন্ত্রবলে জলের মুকুট পরলেন শত্রুঘ্ন?
একাধিক কারণ উঠে আসছে এর পেছনে? রাজনৈতি♎ক পর্যবেক্ষকদের মতে, ১) বিগতদিনে বিজেপি মন্ত্রিসভায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা। তবে দুর্নীতির কোনও দাগ পড়েনি তাঁর জামায়। এই ইমেজটা আসানসোলের অনেকেরই মন জয় করেছিল। পাশাপাশি ২) হিন্দিভাষী মানুষদের মধ্য়ে দাগ কেটেছিলেন চিত্রতারকা বিহারীবাবু। পাশাপাশি একেবারে হিসাব কষে দলের একাধিক শীর্ষনেতাকে আসানসোল আসন জয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মলয় ঘটকের মতো নেতৃত্ব একেবারে তৃণমূলস্তরে কাজ করেছেন।
৩) শিল্প কারখানা, কয়লাখনির উপর নির্ভর করে নির্ভরশীল আসানসোলের আর্থ সামাজিক ব্যবস্থা। খনির বেসরকারিকরণের উদ্যোগের দায় কেন্দ্রের উপর দায় চাপিয়ে ব্যাপক প্রচার করেছিল তৃণমূল। তার জবাব দিতে পারেনি বিজেপি। ৪) সাংগঠনিক শক্তি, বুথে বুথে প্রচার, জোরদার ভোট মেশিনারি তৃণমূলকে অনেকটা এগিয়ে দিয়েছে🌊। ৫) শত্রুঘ্ন সিনহাকে বহিরাগত বলে কটাক্ষ করে বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি বিজেপি। নড়বড়ে সংগঠন নিয়ে ভোটটাই করাতে পারেনি বিজেপি ৬) পেট্রল, ডিজেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে তৃণমূলের লাগাতার൩ প্রচার বিজেপি বিরোধী প্রচারে আরও শান দিয়েছে আসানসোলে।