রামপুরহাট কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এবার ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। প্রসঙ্গত, তপন কান্দুর স্ত্রী আগেই দাবি করেছিলেন যে তিনি খুনিদের বিচার চেয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন। তাঁর আর্জি, এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের পাশাপাশি আদালতের নজরদারিতে যেন পুরো ঘটনার তদন্ত করা হয়। তাঁর দাবি, এই ঘটনায় তদন্ত হলেই আরও বড় বড় মাথা বেরিয়ে আসবে। ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর খুন হওয়ার পরেই থানার আইসির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন পূর্ণিমা কান্দু। তিনি দাবি করেছিলেন, আইসি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। এরপরে দেখা যায় ঝালদা থানার ৫ জন পুলিশকে ক্লোজ করা হয়। যার মধ্যে রয়েছেন একজন সাব-ইন্সপেক্টর, দু'জন কনস্টেবল এবং দুজন এনভিএফ। এর পরে গতকাল বৃহস্পতিবার ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষকেও সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তারপরে থানার দায়িত্বে বসানো হয়েছে এসডিপিও সুব্রত দেবকে।গত ১৩ মার্চ বিকেলে খুন হন ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তপন কান্দু। সেই ঘটনায় নাম জড়ায় ঝালদা থানার আইসির। সম্প্রতি তপন কান্দুর ভাইপোর সঙ্গে আইসিসির একটি অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়েছে যেখানে তপন কান্দুকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা বলা হয়। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই সঞ্জীব ঘোষকে যাবতীয় দায়িত্ব থেকে সরানো হয়। এই খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তপন কান্দুর ভাইপো দীপক কান্দুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সিবিআই তদন্তের দাবিতে মামলা দায়ের করতে আজ শুক্রবার নিজেই কলকাতা হাইকোর্টে আসেন তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। তিনি বলেন, ‘রাজ্য পুলিশের তদন্তে আমার ভরসা নেই।’