অক্ষয় তৃতীয়ায় উদ্বোধন হতে চলেছে দিঘার জগন্নাথ মন্দির। ঠিক তার আগে রবিবারই দিঘার সমুদ্রে ভেসে আসে জগন্নাথদেবের মূর্তি। মূর্তি ঘিরে তুঙ্গে চর্চা গোটা বাংলা। এদিকে, যে ভোগীব্রহ্মপুরে নির্মিত হচ্ছে জগন্নাথ মন্দির, সেখানেই অবনী সামন্তর বাড়িতে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এই ভেসে আসা জগন্নাথ মূর্তি। এই দেবমূর্তি ঘꦐিরে রহস্য, প্রশ্ন, ভক্তি, জল্পনা সমস্ত কিছু ঘুরপাক খাচ্ছে। তারই মাঝে এলাকার স🔯ামন্ত বাড়ির ঠাকুরঘরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেই দেবমূর্তি। গৃহস্থ অবনী সামন্ত বলছেন,' শুধু চাই ভগবান আপাতত আমার বাড়িতেই থাকুন।'
কোথা থেকে এই জগন্নাথ মূর্তি ভেসে এল দিঘায়? প্রশ্ন ঘিরে বহু রহস্য তুঙ্গে। এর সঙ্গে আধ্যাত্মিক যোগ নিয়েও চর্চা বিস্তর। ‘সংবাদ প্রতিদিন’র এক রিপোর্ট বলছে, দিঘা এলাকায় কর্মরত নুলিয়া রতন দাস বলছেন,' আমি দীর্ঘদিন দিঘা সৈকতপাড়ে নুলিয়ার কাজ করছি। এর আগেও দুই-একবার জগন্নাথদেবের মূর্তি ভেসে এসেছে।' এবিষয়ে তিনি আরও যোগ করেন। রতন বলছেন, এমন মূর্তি ভেসে আসে ' কারণ, ওড়িশার মানুষেরা পুরনো জগন্নাথদেবের মূর্তিকে সমুদ্রে বিসর্জন দিয়ে মন্দিরে নতুন বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করে থাকেন। ফলে কাঠের মূর্তি সমুদ্রে ভাসতে ভাসতে দিঘার পাড়ে এসে ওঠে।' তবে এর বিরুদ্ধ মতও রয়েছে। মন্দির প্রতিষ্ঠার আগে স্বয়ং দেবমূর্তি ভেসে আসার সঙ্গে আধ্যাত্মিকতার যোগ রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। আর এই সবের মাঝে যাঁর বাড়িতে এই মূর্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছে, সেি অবনী সামন্ত বলছেন,'কোথা থেকে তিনি এসেছেন জানি না🐎। জানতে চাই না।' অবনীবাবু বলছেন,' শুধু চাই ভগবান আপাতত আমার বাড়িতেই থাকুন।'
কীভাবে পাওয়া গেল মূর্তি?
রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রস্তাবিত পুরনো জগন্নাথ মন্দিরের কাছে🍌 দিঘায় তৈরি হচ্ছে একটি ঘাট। সেখানে নির্মিত হচ্ছে জগন্নাথদেবের মাসির বাড়ি। সেই নির্মাণ কাজেই রবিবার সকলে ব্যস্ত ছিলেন নির্মাণকারীরা। সমুদ্রের বোল্ডার সরানোর কাজে কয়েকজন ছিলেন। তাঁদেরই একজন দেখতে পান, সমুদ্রে ভেসে আসছে জগন্নাথ মূর্তি। দেখা গিয়েꦆছে, মূর্তির একহাত ভাঙা। সঙ্গে সঙ্গে খবর ছড়িয়ে পড়ে। গোটা এলাকায় সেই খবর তাক লাগিয়ে দেয়। অক্ষয় তৃতীয় দিঘায় মন্দির উদ্বোধনের আগে এই দেবমূর্তি ভেসে আসা কি কোনও ইঙ্গিত? এই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করে লোকমুখে। ছুটে আসেন অনেকে। সাক্ষাৎ ভেসে আসা দেবমূর্তি দর্শনে ভিড় হয়ে যায়।