রাজ্য সরকার শিক্ষক পদে নিয়োগ করতে প্রস্তুত। কিন্তু মামলা ঝুলে রয়েছে আদালতে। বৃহস্পতিবার শহিদ দিবসের সমাবেশ থেকে এই কথাই বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘১৭ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করতে পারতাম। কি✅ন্তু কোর্টের জন্য সব ঝুলে আছে।’ এর আগে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও কিছুদিন আগেই জানিয়েছিলেন, আদালতের জট কাটলেই রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ হবে।
এদিন ধর্মতলায় দলীয় সমাবেশের মঞ্চে রাজ্যে শিক্🅷ষক নিয়🎶োগের বিষয়টি নিজেই টেনে আনেন তৃণমূল নেত্রী। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ১৭ হাজার পদ রেডি আছে। কিন্তু কোর্টে কেস চলছে বলে করতে পারছি না। যে ডিপার্টমেন্ট নিয়োগ করছে তারাও রেডি আছে।’ এই প্রসঙ্গেও বিজেপিকে তুলোধোনা করতে ছাড়েননি তৃণমূল নেত্রী। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘আমরা চাই চাকরি হোক। আর বিজেপি চায় চাকরি যাক। ওরা চায় না চাকরি হোক। ওদের কুটুস কুটুস করে পিঁপড়ের কামড় দিচ্ছে। ওরা বলছে, ওখানে লেখা ভুল। কিন্তু তুমি (বিজেপি) কী করেছ? তোমার যদি আমি রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ড ধরি, ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন ধরি, তোমার যদি আমি সিভিল অ্যাভিয়েশন ধরি, সব তো গোল্লায় গোল্লায় খেয়েছ। আর বাংলায় বলছ, বাংলার লোককে চাকরি দেওয়া যাবে না। আলবাৎ দেব। ক্ষমতা থাকলে আমায় রুখবে, যাও। একদিকে তোমরা চাকরি বন্ধ করবে, আর একদিকে রাস্তা খুলে দেব। আমি জানি রাস্তা ক🥀ীভাবে খুলতে হবে।’
একইসঙ্গে তিনি🦩 নিয়োগ প্রসঙ্গে জানান, ‘কাজ করতে গেলে ভুল হবে। কিন্তু কেউ যদি ইচ্ছে করে ভুল করে, তার শাস্তি সে পাবে। সিপিএমের আমলে চাকরি হয়েছিল। ১০ লাখ, ১৫ লাখ টাকায় চাকরি বিক্রি হয়েছিল। নাম বলে ছোট করতে পারি না।’ উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে একাধিক ꦛদুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করছে সিবিআই। গোটা বিষয়টি এখন আদালতে বিচারাধীন। ইতিমধ্যে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তে নেমে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল নেত্রীর দলীয় সমাবেশে শিক্ষক নিয়োগ প্রসঙ্গ উত্থাপন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।