রাস্তার ধার থেকে বড় বড় গাছ কাটার অভিযোগ উঠল খাস কলকাতায়। পাটুলি থানার অন্তর্গত ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের ধারে কমপক্ষে ৩৭ টি গাছ কাটা হয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও কে বা কারা গাছ কেটে🥀ছে সে বিষয়ে কোনও খবর নেই পুরসভা বা পুলিশের কাছে। অভিযোগ উঠেছে দিনের আলোতেই গাছগুলি কাটা হয়েছে। গাছ কাটার বিষয়টি কেন টের পেল না প্রশাসন? তা নেই উঠেছে প্রশ্ন। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: 'ভেবেছিল, দলেরཧ সঙ্গে যুক্ত....', টেন্ডার ছাড়াই গাছ 'কাটলেন' 🌠তৃণমূল নেতার দাদা
জানা গিয়েছে, যে অংশে গাছ কাটা হয়েছে। সেটি ১১০ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে পড়ে। দেবদারু𓄧, পলাশ, শিশু, নিম প্রভৃতি গাছ কেটে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রকাশ্য দিবালোকে গাছ বলে কাটা হয়েছে। অন্যদিকে, পুলিশের দাবি, রাতের অন্ধকারে কাটা হয়েছে। তবে যেখানে গাছ কাটা হয়েছে তার কিছুটা দূরে অবস্থিত কলকাতা পুলিশের গড়িয়া ট্রাফিক গার্ডের নতুন আউট পোস্ট। কেন তাদের নজরে বিষয়টি পড়ল না? তাই নিয়ে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন চিহ্ন থেকেই যাচ্ছে। ইতিমধ্যে স্থানীয়দের তরফে পাটুলি থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।স্থানীয়দের বক্তব্য, এই বিষয়টি নিয়ে তাঁরা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে অভিযোগ জানাবেন। কারণ এর আগে বালেরগঞ্জের ১২ নম্বর রোনাল্ড রোডে গাছ কাটার খবর পেয়ে সেখানে গিয়েছিলেন খোদ রাজ্যপাল। তাই স্থানীয়রা এ বিষয়ে রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানাবেন।
প্রসঙ্গত, কলকাতা পুরসভার তরফে বৃক্ষ রোপণের♑ বার্তা দেওয়া হয়ে থাকে। এর আগে কলকাতা পুরসভার তরফে শহরের বিভিন্ন রাস্তার পাশে প্রচুর পরিমাণে গাছ রোপন করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও কীভাবে এতগুলি গাছ নিধন করা হল? তাতে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। তাঁদের বক্তব্য, সেক্ষেত্রে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা পুলিশের ভূমিকা থাকতে পারে। যদিও এলাকার তৃণমূল বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার এই ⛎ঘটনার নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন, এইভাবে গাছ কাটা মোটেই উচিত নয়। বিষয়টি নিয়ে তিনি পুরসভার দিকে দায় ঠেলে দিয়েছেন।
অন্যদিকে এ বিষয়টি জানা নেই পুরসভার উদ্যান বিভাগের মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমারের। এ নিয়ে পুরসভার আধিকারিকদের উপর দায় চাপিয়েছেন তিনি। মেয়র পারিষদের বক্তব্য, যারা নজরদারি দায়িত্বে থাকেন তাদের এই বিষয়টি দেখা উচিত ছিল। কেন তাদের নজরে এল 🏅না? বিষয়টি তাই নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন।