৯ অগাস্ট থেকে ৯ নভেম্বর। আরজি করে ভয়াবহ ঘটনার তিন 💝মাস। প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল গোটা বিশ্বজুড়ে। সেই তিন মাসের মাথায় শনিবার ফের রাস্তায় নামলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। প্রচুর সাধারণ মানুষও জড়়ো হয়েছিলেন এদিন। একাধিক কর্মসূচি কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে। তবে সাধারণ মানুষের প্রশ্ন এই যে দীর্ঘ আন্দোলন তার ফলে সত্যিই কি ন্যায় বিচ♓ার জুটল?
আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের দ🔯াবি, আমরা এক সঙ্গে পথে থাকব। আমরা বিচার চাই। যতদিন ✃না বিচার হচ্ছে ততদিন রাজপথে রয়েছি থাকব।
বহু মানুষ রাজপথে নেমেছিলেন এদিনও। কিন্তু কোথাও যেন হতাশা গ্রাস করেছে। দীর্ঘ অনশন, দীর্ঘ আন্দোলন। তারপরেও এখনও হাসপাতালে শাসকের রক্তচক্ষু কোনও অং🧸শে কমেনি। দিনহাটা হাসপাতালে এদিনও শাসকদলের ꦫলোকজন গিয়ে চিকিৎসকদের রীতিমতো শাসিয়ে আসেন। তবে এদিন বার বার জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়ে দেন, রাজপথ ছাড়ছি না।
এ🔜দিকে আন্দোলনকারীদের একাধিক পরিচিত মুখকে দেখা যায়নি এদিন। মূলত পরীক্ষার জন্য আসতে পারেননি তাঁরা। তাঁদের যে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হবে সেটা তাঁরা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন। সেই মতো এদিন কয়েকজনকে দেখা যায়নি। তবে সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে ভাটা পড়েছে এমনটা নয়।
এদিনের মিছিলে দেবলীনা দত্ত, চৈতি ঘোষালরাও ছিলেন। প্লাকার্ড, জাতীয় পতাকা নিয়ে রাজপথে নেমে আসেন বহু সাধারণ মানুষ। কলেজ স্কোয়ার থেকে শুরু হয়েছিল মিছিল। ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করে যান জুনিয়র ডাক্তাররা। আরজি কর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কাছে তৈরি করা হয়েছে দ্র🙈োহের গ্যালারি। সেখানে আন্দোলনের নানা সময়ের ছবি রাখা হয়েছে। এদিন জনতার চার্জশিটেরও আয়োজন করা হয়েছিল। রাজপথ ছাড়ি নাই। বার বার আওয়াজ তোলেন জুনিয়র ডাক্♍তাররা। সিনিয়ররাও ছিলেন মিছিলে। আন্দোলকে যাতে চালিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সেকারণে আওয়াজ তোলেন তাঁরা।
ছাতায় লিখে আনা হয়েছিল রাজপথ ছাড়ি নাই। রাস্তায় এদিন ফের নানা ধরনের স্লোগান লেখা হয়। ন্যায় বিচারের দাবিতে বার বার ওঠে স্লোগান। দূরের জেলা থেকেও বহু মানুষ এসেছিলেন এদিಌনের মিছিলে। ব্যানারে লেখা ছিল নাগরিকদের মিছিল। WBJDF-এর ডাকে নাগরিকদের মিছিল। কার্যত খালি গোটা বিষয়টি জুনিয়র ডাক্তার বা সিনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে যে সীমাবদ্ধ নয় এটাই বার বার বোঝাতে চান চিকিৎসকরা। কানাডা থেকে আসা এক চিকিৎসক হুইল চেয়ার নিয়েও এই মিছিলে শামিল হয়েছিলেন। ব্যানারে লেখা হয়েছিল কেটে গেছে ৯০ দিন। আর কতদিন বিচারহীন!