সাত বছরের এক ন🌌াবালিকার গলাকাটা দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল তিলজলা। বাড়ির পাশে একটি আবাসনের তৃতীয় তলার ফ্ল্যাট থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার হয় তার দেহ। নাবালিকাকে খুনের অভিযোগে ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেফতার করেছে তিলজলা থানার পুলিশ। নাম অলোক কুমার (৩২)। বিহারের সমস্তিপুরের বাসিন্দা এই আবাসনেই থাকে। জেরায় অভিযুক্ত খুনের কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের প্রাথমিক অনুমান, এই ঘটনার পিছনে পুরনো শত্রুতা রয়েছে।
এই নাবালিকার দেহ প্রতিবেশীর ফ্ল্যাটের রান্নাঘর থেকে হাত, পা, মুখ বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার হয়। আর তাতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে তিলজলা এলাকা। তিলজলা থানায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযো🔜গ তুলে থানাও ঘেরাও করেন তাঁরা। এই ঘেরাও ঘিরেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় রবিবার রাতে। রাত যত বাড়ে পরিস্থিতি তত উত্তপ্ত হতে থাকে। বিক্ষোভকারী স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশের উদ্দেশে ইট পাটকেল ছোড়েন বলে অভিযোগ। তার জেরে দুই পুলিশকর্মী আহত হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশও। তার জেরে ছত্রভঙ্গ হয় জনতা। কয়েকজনকে আটকও করে পুলিশ।
কেন পুলিশের উপর হামলা? সকাল থেকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না নাবালিকাকে। দুপুর ১২টা নাগাদ তিলজলা থানায় মিসিং ডায়েরি 💞করে তার পরিবার। তাঁদের দাবি, বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি থানা। অনেক দেরি করে খোঁজখবর শুরু করা হয়। তখন স্থানীয় বাসিন্দারাই একটি বাড়ির সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশকে দেয়। তাতে দেখা গিয়েছে, নাবালিকা বাড়ির পাশের ফ্ল্যাটে ঢুকছে। তারপরই পুলিশ ওই আবাসনে তল্লাশি চালায়। আর তৃতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটের ভিতরের ঘরে রক্তমাখা বস্তা মেলে। বস্তা খুলতেই উদ্ধার হয় নিখোঁজ নাবালিকার গলাকাটা দেহ। পাশাপাশি তার মাথায় ও কানে𝓀 আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছে লালবাজার। কিন্তু এহেন নৃশংস খুন কেন? চলছে জেরা। আজඣ, সোমবার অভিযুক্তকে আলিপুর আদালতে তোলা হবে বলে খবর।