রাত পোহালেই বিশ্বকর্মা পুজো। তার আগেই সামনে এল অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনার কথা। হুগলির ব্যান্ডেলে বেসরকারি কারখানার এক সুপারভাইজারকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে বলে খবর। মৃৃতের নাম পাপ্পু দাস। এদিকে দুষ্কৃতীদের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে ওই কারখানার অপর এক শ্রমিকও আহত হয়েছেন বলে খবর। তবে এই খুনের পেছনের কারণকে ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। এবার প্রশ্ন কেন তাকে এভাবে খুন করা হল? সেই প্রশ্নের উত্তর নিয়ে কিছুটা ধোঁয়াশা রয়েছে। রেলের যন্ত্রাংশ তৈরি হয় ওই কারখানায়। ব্যান্ডেলের সাহেবগঞ্জে ওই কারখানা। ওই কারখানায় বিশ্বকর্মা পুজোর প্রস্তুতি চলছিল। অন্য়ান্যদিনের মতো পাপ্পুও কারখানায় এসেছিলেন। চারদিকে পুজো পুজো ভাব। তার মধ্য়েই তিনি কারখানায় এসেছিলেন। এদিকে বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ কয়েকজন দুষ্কৃতী ওই কারখানার সামনে জড়ো হন। এরপর তারা পাপ্পুর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। রাস্তায় ফেলে শুরু হয় মার। সেই সময় পাপ্পুকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন ওই কারখানার এক শ্রমিক। তার উপরেও হামলা চালানো হয়। এদিকে একের পর এক কিল, চড়, ঘুষি চলতে থাকে। একসময় এলাকা থেকে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এরপর দুজনকে উদ্ধার করে ব্যান্ডেল ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর পাপ্পুকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এদিকে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে ঠিকা শ্রমিকদের একাংশের সঙ্গে ওই সুপারভাইজারের কিছু মতবিরোধ থাকতে পারে। তার জেরেই কি এই হামলা? পুলিশ ইতিমধ্য়েই তদন্ত শুরু করেছে। শ্রমিকদের মধ্য়েও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। কেন এভাবে হামলা চালানো হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে গোটা বিষয়টি জানার চেষ্টা করছে। এদিকে বিশ্বকর্মা পুজো মানেই সেখানে শামিল হন শ্রমিকরা। শ্রমিকদের মধ্যে আনন্দের উৎসব। সেই উৎসবেরও ছন্দপতন হয়েছে। এভাবে কারখানার সামনেই পিটিয়ে খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কেন আরও শ্রমিকরা তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে এলেন না তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে।