কাকভোরে বছর দু’একের শিশুসন্তানকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন মহিলা। তারপরেই নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। অবশেষে নিউটাউনের খাল থেকে ওই মহিলার পচাগলไা দেহ উদ্ধার করা হল। তবে খোঁজ পাওয়া যায়নি ওই শিশুর। ঘটনার তদন্তে নেমেছে নিউটাউন থানার পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে নিউটাউনের যাত্রাগাছি এলাকায়। জানা গিয়েছে, এদিন ওই খালে জগৎপুরের দিক থেকে ভেসে এসে নিউটাউনের যাত্রাগাছি এলাকায় ওই মহিলার দেহ আটকে যায়। ঘটনার সময় খালটি পরিষ্কার করছিলেন পুরসভার সাফাইকর্মীরা। তাঁরাই প্রথমে দেহটি দেখতে পান। খবর দেওয়া হয় নিউটাউন থানায়। পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার 💖করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয়।
প্রাথমিক তদন্তে ꦫঅনুমান, তিন-চার দিন আগে মৃত্যু হয়েছে ওই মহিলার। কিন্তু দেহ উদ্ধারের সময় তাঁর পরিচয় জানা যায়নি। তবে সন্ধ্যার দিকে পুলিশ জানতে পারে, গত দু’দিন আগেই ওই মহিলা আবাসন থেকে বেরোনোর পর নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন। মৃত ওই মহিলার নাম আরতি কুমার। নিউটাউনের চণ্ডীবেড়িয়া এলাকায় একটি আবাসনে স্বামী ও দু’বছরের ছেলেকে নিয়ে থাকতেন তিনি। তাঁর স্বামীর নাম রাকেশ কুমার।
পুলিশ আরও জানতে পারে, মঙ্গলবার কাকভোরে ছেলেকে নিয়ে আবাসন থেকে বেরিয়েছিলেন আরতি। আবাসনের সিসিটিভি ক্যামেরায় সেই ফুটেজও ধরাও পড়েছে। কিন্তু তার পর থেকে তিনি আর বা✱ড়ি ফেরেননি। পর༺ের দিন অর্থাৎ ৫ তারিখ, বুধবার নিউটাউন থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন মৃতার স্বামী রাকেশ।
নিখোঁজ হওয়ার দু’দিন পরে মহিলার দেহ উদ্ধার করা হলেও তাঁর দু’বছরের ছেলের কোনও হদিশ পাওয়া যায়♍নি। শিশুটি কোথায় গেল? এই নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। এদিন সকাল থেকেই ওই খালে ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ। কিন্তু সারাদিন তল্লাশি চালানোর সত্ত্বেও ওই শিশুর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। ওদিকে ওই মহিলার পরিবারের অভিযোগ, শিশুকে ছিনতাই করে ওই মহিলাকে মেরে খালের জলে ফেলে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। আদেও ওই শিশুটি কোথায় গেল, বা সত্যি কেউ তাঁকে অপহরণ করল কি না বা এই ঘটনার পিছনে কে বা কারা জড়িয়ে রয়েছে, তা জানতে তদন্তে নেমেছে নিউটাউন থানার পুলিশ।