প্যারোলে জেল থেকে বাড়ি ফিরতেই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক আসামির। মৃতের নাম নারায়ণ মণ্ডল (৫৫)। খুনের অপরাধে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল আদালত। গত ১৪ বছর ধরে তিনি জেলে রয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন থানার রামচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চকভৃগু এলাকায়। বাড়ির শৌচালয় থে🥀কে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন ওই ব্যক্তি।
আরও পড়ুন: হাসপাতালের ছাদ থেকে ঝাঁপ দ🌠িয়ে রোগীর আত্মহত্যা, চন্দননগরে তুমুল আলোড়ন
জানা গিয়েছে, বর্তমানে নারায়ণের স্ত্রী চকভৃꦏগু এলাকায় দুই ছেলেকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। কয়েকদিন আগেই প্যারোলে ওই বাড়িতে এসেছিলেন তিনি। গতকাল বিকেলে সেই ভাড়া বাড়ির শৌচালয় থেকেই তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বালুরঘাট থানার পুলিশ। তার দেহ উদ্ধার করে রবিবার ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে সেই হাসপাতালের পুলিশ মর্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। কী কারণে ওই ব্যক্তি আত্মহত্যা করলেন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে প্রাথমিকভাবে অনুমান, দীর্ঘদিন জেলে থাকার কারণে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১৪ বছর ধরে নারায়ণ মণ্ডল বালুরঘাট কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে ছিলেন। জমি বিবাদের জেরে দাদাকেﷺ খুন করেছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, জমি নিয়ে বচসার জেরে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিবাদ চরমে উঠেছিল। তা নিয়ে দাদা কার্তিকের ওপর চড়াও হয়েছিলেন নারায়ণ। ঘটনায় লাঠির আঘাতে তার দাদার মৃত্যু হয়। ২০১০ সালের সেই ঘটনায় খুনের অভিযোগ দায়ের হয়। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ নারায়ণকে গ্রেফতার করে। এরইমধ্যে মামলাও চলে। তাতে সমস্ত পক্ষের বক্তব্য শোনার পর ও প্রমাণ খতিয়ে দেখে বিচারক নারায়ণের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। সেই থেকেই নারায়ণ বালুরঘাট কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে ছিলেন।
জানা যায়, গত ৪ নভেম্বর প্যারোলে বাড়িতে এসেছিলেন নারায়ণ। আজ সোমবার তার সংশোধনাগারে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। তবে 💖তার আগেই বাড়ির শৌচালয়ে ঢুকে গলায় দড়ি দিয়ে নিজের জীবন শেষ করে দেন। খবর পেয়ে পুলিশ শৌচালয়ের দরজা ভেঙে তার দেহ উদ্ধার কর🃏ে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এমন ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে মৃতের পরিবারে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ নিয়ে আরও স্পষ্ট হওয়া যাবে বলে মনে করছে পুলিশ।