আধার যে ভারতীয় নাগরিকত্বের পরিচয় নয় তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এবার আধার কার্ডকে বয়সের প্রমাণপত্র হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না বলে জানিয়ে দিল সর্বোচ্চ আদালত। পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের এক নির্দেশকে খারিজ করে একথা জানিয়েছে বিচারপতি সঞ্জয় করোল ও বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়ার ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, স্কুল লিভিং সার্টিফিকেটে উল্লেখ থাকা বয়সকেই প্রামাণ্য হিসাবে মানতে হবে।একটি গাড়ি দুর্ঘটনার মামলায় বিমার পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল আধারে উল্লেখ থাকা বয়সকেই প্রামাণ্য হিসাবে মানতে হবে। আধার অনুসারে দুর্ঘটনায় মৃত ব্যক্তির বয়স ছিল ৪৭ বছর। যার ফলে বিমা সংস্থাকে অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হচ্ছিল। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় বিমা সংস্থা। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে সর্বোচ্চ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, আধার বয়সের প্রমাণপত্র নয়। সেখানে উল্লেখ থাকা বয়সকে প্রামাণ্য হিসাবে ধরা যাবে না। ২০১৫ জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্টের ৯৪ নম্বর ধারা অনুসারে স্কুল লিভিং সার্টিফিকেটে উল্লেখ থাকা বয়সকেই প্রামাণ্য হিসাবে ধরতে হবে। সেই হিসাবে ব্যক্তির বয়স হয় ৪৫ বছর। আধার কার্ড শুধুমাত্র ব্যক্তির পরিচয় প্রতিষ্ঠিত করতে ব্যবহার করা যাবে।এমনকী আগে এক রায়ে আধার থাকা বাধ্যতামূলক নয় বলেও জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সরকার আধার তৈরি করতে নাগরিককে বাধ্য করতে পারে না বলে নির্দেশ দিয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত। আধার ছাড়াই প্রত্যেক নাগরিকের সমস্ত সরকারি পরিষেবা পাওয়ার অধিকার রয়েছে বলেও জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।