ধর্ষণ-বিরোধী কঠোর আইন আনার জন্য 'ডেডলাইন' বেঁধে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের সমাবেশ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক জানান যে সমাজে পরিবর্তন আনার জন্য এবং আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতꦦালের তরুণী চিকিৎসককে (🎶স্নাতকোত্তরের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া) যে পাশবিকতার শিকার হতে হয়েছে, তার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে, তা নিশ্চিত করার জন্য অবিলম্বে ধর্ষণ-বিরোধী কঠোর আইন আনতে হবে। আর নরেন্দ্র মোদী সরকার যদি তিন-চার মাসের মধ্য়ে সেই আইন প্রণয়ন না করে, তাহলে দিল্লিতে বৃহত্তর অন্দোলন গড়ে তুলবে তৃণমূল। এমনকী তিনি নিজে প্রাইভেট বিল পেশ করবেন বলেও জানিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
‘প্রাইভেট বিল আনব’, হুঁশিয়ারি অভিষেকের
মেয়ো রোডের সভা থেকে অভিষেক বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার যদি এই বিল (ধরꦺ্ষণ-বিরোধী কঠোর আইন প্রণয়নের জন্য় বিল) না আনে, তাহলে প্রাইভেট মেম্বার বিলের মাধ্যমে আমি এই আইন মুভ করব। প্রত্যেক সদস্যের সেই অধিকার আছে।' সেইসঙ্গে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'বাংলার মানুষ আমাদের এই অধিক🤡ার দিয়েছেন।’
অভিষেক প্রশ্ন করেন, যে মোদী সরকার রাতারাতি 🐼নোটবন্দী করতে পারে, যে মোদী সরকার রাতারাতি লকডাউনের ঘোষণা করতে পারে, যে মোদী সরকার রাতারাতি দিল্লির জন্য অর্ডিন্যান্স জারি করতে পারে, সেই সরকার কেন ধর্ষণ-বিরোধী আইন প্রণয়ন করতে পারছে না? তাঁর দাবি, বিচার সেদি🏅নই হবে, যেদিন আইন আসবে।
'BJP-র সকলে পাতাখোর-ধর্ষক'
কেন সেই আইন আনেনি BJP, সেটার ‘কারণ’-ও ব্যাখ্যা করেন অভিষেক। তিনি দাবি করেন যে মোদী সরকার যদি ধর্ষণ-ব♒িরোধী আইন নিয়ে আসে, তাহলে সবথেকে আগে জেলে যাবেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। কারণ যাঁরা বিজেপির নেতা-কর্মী, তাঁদের সকলেই চোর, পাতাখোর, খুনি, ধর্ষক, মাতাল বলে দাবি𒀰 করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
আরও পড়ুন: Mamata on anti-rape law: ধর্ষকের ফাঁসি চাই, ১০ দিনের মধ্যে ব𝄹িধানসভায় বিল পাশ করিয়ে নেব, ঘোষণা মমতার
বিজেপির প্রতিক্রিয়া
যদিও অভিষেকের সেই দাবি নিয়ে পালটা খোঁচা দিয়েছে বিজেপি। ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’-র নবান্ন অভিযানে ‘প⭕ুলিশি বর্বরতার’ অভিযোগে পদ্ম শিবির যে বাংলা বনধ করছে, তারইমধ্যে বঙ্গ বিজেপির রাজ্য় সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘আরে ধর্ষণ-বিরোধী আইন রয়েছে। ভালোভাবে আইন পড়তে বল🍸ুন। এসব ফেক পিএইচডিধারী এবং ফেক এমবিএ ধারী লোকেরা ছাত্র সমাজের সামনে গিয়ে মিথ্যে কথা বলছেন।’