আজ, রবিবার তৃণমূল কংগ্রেসের ২৫তম প্রতিষ্ঠা দিবসে তপসিয়ায় দলের সদর দফতরের নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হল। আর এই দিনে দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে নতুন ভবনের ভূমিপুজো করেন তিনি। এখান থেকে একদিকে বিজেপিকে বার্তা দেন তিনি। অন্যদিকে দলের নেতা–কর্ম♎ীদের বার্তা দেন তিনি। একইসঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং আন্দোলনরত চাকরি প্রার্থীদের উদ্দেশে খোলামেলা বক্তব্য রাখেন।
ঠিক কী বলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়? এদিন ভিত পুজো সেরে তিনি রাজনৈতিক বার্তা দেন। অভিষেক এদিন বলেন, ‘আগে সামাজিক রেজোলিউশন, তারপর রাজনৈতিক রেজোলিউশন। রাজনীতি তো মাঠ𒈔ে ময়দানে আমরা করি। কিন্তু সব জিনিসে রাজনীতি ঢুকিয়ে দেওয়া কাম্য নয়। যাঁরা মানুষের দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে রﷺাজনীতি করেন, প্রকৃত রাজনীতিবিদ তাঁরাই। বিচ্ছিন্নতাবাদ, বৈষম্য, ঘৃণা, সাম্প্রদায়িকতা দূর হোক। দেশকে পথ দেখাবে বাংলা মডেল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত আমরা। এবারের ভোট অবাধ, শান্তিপূর্ণ হবে।’
আর কী বলেছেন তিনি? বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই এদিন অভিষেকের কথায় উঠে এল পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রসঙ্গও। এবার আত্মবিশ্বাসের সুরেই তিনি বলেন, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচন যখন হওয়ার তখন হবে। যখনই হোক, সাংগঠনিকভাবে আমরা প্রস্তুত। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এবং আমি দলের পক্ষ থেকে বারবার বলেছি, শান্তিপূর্ণ ও অবাধ, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচন হবে। মানুষ নি✃জের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। মানুষ তো একুশের নির্বাচনেও ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। যেখানেই নির্বাচন হবে, আমরা সর্বশক্তি প্রয়োগ করে মানুষের কাছে যাব। এটাই গণতন্ত্রেই ঐতিহ্য।’
বিজেপিকে কী বার্তা দিলেন? একুশের নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করার পরেও তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়–রথ থাম🙈িয়ে রাখা যায়নি। এই নিয়ে ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ বলেন, ‘যাঁরা বলছেন ভোট হলে 💮তৃণমূল কংগ্রেস হেরে যাবে, তাঁদের লজ্জায় মুখ ঢাকা উচিত। ক’টা কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এনে ভোট করিয়েছে? শয়ে শয়ে কোম্পানি। আট দফায় ভোট করিয়েছে শুধু বাংলায়। তামিলনাড়ু, অসম থেকে শুরু করে সর্বত্র একদফায় ভোট হয়েছে। ভোট এলেই বাংলার কথা মনে পড়ে কারও কারও। বাংলায় হের꧟ে যাওয়ার পর বাংলাকে ভাতে মারার চেষ্টা। এর প♛রিণতি ভাল হবে না।’
জয় শ্রীরাম স্লোগান নিয়ে কী বললেন? হাওড়া স্টেশনে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনে বাংলার মু♍খ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে জয় শ্রীরাম স্লোগান দেয় বিজেপি কর্মীরা। এই বিষয়ে আজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘হাওড়া স্টেশনে সরকারি অনুষ্ঠানে জয় শ্রীরাম স্লোগান তোলা হয়েছে। লজ্জার ঘটনা। ভুল থেকেও শিক্ষা নেয়নি। জয় শ্রীরাম বললে কি রান্নার গ্যাসের দাম কমবে? যোগ্যদের সবার সরকারি চাকরি হোক। সরকার চাকরি দিতে ইচ্ছুক। যাঁরা রাস্তায় বসে রয়েছেন তাঁরা যেন বঞ্চিত না হন। বিচারব্যবস্থা নির্ভীক♓ হোক। সত্যের সঙ্গে থাকুন। কোন দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না। ইতিমধ্যেই অনেককে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিরোধীদের কাছে কোনও লক্ষ্য নেই, কর্মসূচি নেই, মানুষের জন্য কথা বলার মানসিকতা নেই। কীভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করা যায়, বাংলার মানুষকে ছোট করা যায়, পেটে মারা যায়—সেটা করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালে বাংলার মানুষ রুখে দাঁড়াবেন।’