🍸 আজ একুশের মঞ্চ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শিক্ষা দুর্নীতি ইস্যু নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তোপ দাগেন। সঙ্গে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের গ্রেফতারির দাবি জানান অভিষের। দুর্নীতি ইস্যুতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তোপ দেগে অভিষেক বলেন, 'বিজেপি আমাকে হেনস্থা করেছে, আমার বয়স্ক বাবা-মা, আমার স্ত্রী, আমার শিশু পুত্রকে হেনস্থা করেছে। কাউকে ছাড়েনি। কিন্তু আমি বলেছি গলা কেটে দিলেও 'জয় বাংলা' বেরোবে।' এরপর অভিষেক বলেন, 'নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছিল ইডি। নিট প্রশ্নপত্র ফাঁসের কেলেঙ্কারিতে কেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের বাড়িতে রেড করে তাঁকে গ্রেফতার করবে না কেন ইডি? এই দ্বিচারিতা কেন?'
ไনিজের ভাষণে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা এবং বিজেপিকে নিয়ে তোপ দাগেন অভিষেক। বলেন, 'জনগণের গর্জন কী, তা ৪ জুন পুরো ভারতকে দেখিয়েছেন বাংলার মানুষ। সেই জয়ের কারিগর যদি কেউ হন, তাহলে সেটা তৃণমূলের প্রত্যেকটা সৈনিকের জয়। যাঁরা ঝড়-জল-বৃষ্টি উপেক্ষা করে আজ এসেছেন। এই জয়টা আমাদের নেত্র্রীর পায়ে সমর্পণ করছি। ২০১৬ সালে কলকাতায় বিজেপি সভা করে বলেছিলেন যে 'ভাগ, ভাগ মমতা, ভাগ'। আজ তাঁদের যোগ্য শিক্ষা দিয়েছেন বাংলার মানুষ। মানুষকে যাঁরা উচিত শিক্ষা দিতে চেয়েছিলেন, বাংলার মানুষ তাঁদের উচিত শিক্ষা দিয়েছেন। বিজেপি বিভিন্ন জায়গায় সভা করে বলেছিল যে তৃণমূল নেতাদের টাইট দেবে। বলেছিল, ইডি-সিবিআইয়ের হাতে যে স্ক্রু ড্রাইভার আছে, সেটার থেকে মানুষের হাতে স্ক্রু ড্রাইভার এবং হাতুড়ি অনেক বেশি শক্তিশালী।' অভিষেক এদিন আরও বলেন, 'তৃণমূল কংগ্রেসকে ছোট করতে গিয়ে পুরো বাংলাকে ছোট করেছিল বিজেপি। ভোটের আগে সন্দেশখালি নিয়ে দেশের কাছে বাংলাকে ছোট করতে চাইছিল বিজেপি। কিন্তু সেখানেই তিন লাখের বেশি ভোটে হেরেছে বিজেপি।'
﷽এদিকে ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের সুর বেঁধে দিয়ে অভিষেক আজ স্পষ্ট ভাষায় বলেন, 'আগামিদিনে জিতব আমরাই। কিন্তু সেটার জন্য আত্মতুষ্টি চলবে না। আমি যা কথা দিয়েছি, সব পালন করব, আপনারা কথা দিচ্ছেন তো? ২০১৬ সাল, ২০২১ সাল এবং ২০২৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনের থেকেও বড় ব্যবধানে জিততে হবে। তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের শৃঙ্খলাপরায়ণ হতে পারে। পুরনোদের অভিজ্ঞতা ও তরুণদের উদ্দীপনা - দুটিই তৃণমূলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দুটি বৃন্ত তৃণমূলের। লোকসভা নির্বাচনে পুরসভার চেয়ারম্যান, টাউন সভাপতি, পঞ্চায়েত প্রধান, অঞ্চল সভাপতির দায়িত্বে থেকেও যাঁরা মানুষকে বোঝাতে পারেননি, নিজেদের এলাকায় ভালো ফল করতে পারেননি, তাঁদের কাউকে রেয়াত করা হবে না।'