সল্টলেকের বিজি ব্লকে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। ব্যাটারি চালিত রিকশার পেছনে ধাক্কা চারচাকা গাড়ির। দুর্ঘটনায় মৃত্য়ু হয়েছে রিকশা চালকের। বিধাননগর পূর্ব থানার পুলিশ ঘাতক গাড়িটিকে আটক করেছে। এক মহিলা ওই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন বলে খবর। তার চালককেও আটক করা হয়েছে। কীভাবে হবে দুর্ঘটনাটি? স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার বিকালে সল্টলেকের সিজি ব্লক এলাকা থেকে পূর্ত ভবন এলাকার দিকে যাচ্ছিল ওই বেসরকারি গাড়িটি। সেই সময় অন্য রুট দিয়ে একটি রিকশা আসছিল। আচমকাই ওই চারচাকা গাড়িটি রিকশাটিকে ধাক্কাা দেয় ওই চারচাকা গাড়িটি। স্থানীয়দের দাবি নিয়ন্ত্রণ হারিয়েই ওই গাড়িটি সজোরে ধাক্কা দেয় রিকশাটিকে। রিকশার পেছনে ধাক্কা দিয়েছিল গাড়িটি। এরপর রিকশার পেছনের চাকাগুলি ভেঙে যায়। রিকশা চালক ছিটকে রাস্তায় পড়ে যান। পরে স্থানীয়রাই ওই চালককে উদ্ধার করে বিধানননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই রিকশা চালকের নাম গোপাল মণ্ডল। তার বাড়ি কেষ্টপুর এলাকায়। সল্ট লেক এলাকায় রিকশা চালিয়ে তিনি জীবন ধারণ করতেন। পেটের টানে বেরিয়েছিলেন এদিনও। কিন্তু পিষে দিল চারচাকা গাড়ি। রিকশাটিও ভেঙে গিয়েছে। প্রাণ গেল গোপাল মণ্ডলেরও। ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার। এদিকে এক মহিলা চালক গাড়িটি চালাচ্ছিলেন বলে খবর। সংবাদ মাধ্যমে তাকে এই দুর্ঘটনার ব্যাপারে জানতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এরপর তিনি রীতিমতো দাপট দেখাতে শুরু করেন বলে খবর। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন, যাকে বলার তা বলেছি। আমি আপনাদের কিছু বলব না।এদিকে কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। স্থানীয়দের দাবি, বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালাচ্ছিলেন ওই মহিলা। তিনি যদি একটু সাবধানে গাড়ি চালাতেন তবে এই পরিস্থিতি হত না। এনিয়ে চূড়ান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয়রা। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের চাপে শেষ পর্যন্ত ওই ঘাতক গাড়িতে করেই গোপাল মণ্ডলকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। রক্তে ভেসে যায় গোপালের শরীর। হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।