লোকাল ট্রেন এখনও স্বাভাবিক হয়নি। স্টাফ স্পেশাল ট্রেনই এখন ভরসা। তবে দুরপাল্লার ট্রেন চলছে। এই পরিস্থিতিতে এবার সেখানে চালু হচ্ছে প্যান্ট্রি কার। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে এই পরিষেবা বন্ধ ছিল দুরপাল্লার ট্রেনে। এখন গোটা দেশে একশো কোটি টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে। তাই রেল কর্তৃপক্ষ এই পদক্ষেপ করতে সাহস দেখাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। আবার দূরপাল্লার ট্রেনের যাত্রীরা সফরকালীন তৈরি করা খাবার অর্ডার করতে পারবেন। যা এককথায় অভাবনীয়।রেল সূত্রে খবর, এই প্যান্ট্রি কার পরিষেবা চালু করার জন্য রেলের কাছে অনুমতি চেয়েছিল আইআরসিটিসি। সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছে রেল। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে রেলের স্বাভাবিক কাজকর্ম এবং পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ায় আয় কমে গিয়েছে রেলের। সেখানে এই পথে আয় আসবে রেল বোর্ডের। তাছাড়া এখন গোটা দেশেই কোভিড–১৯ নিয়ন্ত্রণে। এই পরিস্থিতিতে আইআরসিটিসি’র আবেদনে সিলমোহর দিয়েছে রেল বোর্ড। চলতি মাসের মধ্যেই চূড়ান্ত ছাড়পত্র দিতে চলেছে রেল বোর্ড। তাই নভেম্বর মাসের মধ্যে ফের প্যান্ট্রি কার পরিষেবার সুবিধা পাবেন যাত্রীরা। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই যাত্রীদের মধ্যে উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। কারণ এখন অনেক যাত্রীই বেড়াতে বেরিয়ে পড়ছেন। সেখানে খাবার নিয়ে একটা চিন্তা থাকছিলই। সেখানে রেলের খাবার অনেক নিরাপদ বলেই মনে করা হচ্ছে। আর সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে না খাবার। আইআরসিটিসি’র খাবার চলে আসবে যাত্রীদের হাতে।উল্লেখ্য, প্রথম লকডাউন শুরুর থেকেই প্যান্ট্রি কার পরিষেবা বন্ধ করে দেয় রেল। পরে বিশেষ ট্রেন চালানো হলেও সেই সমস্ত ট্রেনে কোনও প্যান্ট্রি কার ছিল না। এখন দেশ এই সংক্রমণ থেকে খানিকটা মুক্ত হতেই সিদ্ধান্ত বদল করল রেল। আসলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছিলেন রেলের কর্মীরা। সেখানে আক্রান্ত হচ্ছিলেন প্যান্ট্রি কারের কর্মীরাও। তাই বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছিল। এবার তা চালু করা হচ্ছে।