কলকাতা পুরসভার ২নম্বর ওয়ার্ড। ভোটের মাঝপথে সেই ওয়ার্ডেই সিঁথি থানার উলটো দিকে একেবারে নর্দমার ধারে অবস্থানে বসে পড়লেন সিপিএম প্রার্থী। অপর এক পার্টি নেতাকে সঙ্গে নিয়ে ওই সিপিএম নেত্রী বসে পড়েন। এদিকে রাস্তার চারদিকে কেউ বিশেষ নেই। আর রাস্তার মধ্যেই বসে রয়েছেন সিপিএম প্রার্থী। এই ছবি দেখে নানা চর্চা শুরু হয়েছে এলাকায়। তবে ওই দুজন অবস্থানকারীর দাবি, থানা থেকে ১০০ মিটার দূরে গাদা গাদা বহিরাগত বসে রয়েছেন। সমস্ত বুথ দখল হয়ে গিয়েছে। অটোচালকরা, লরি চালক সকলে বসে রয়েছেন দল বেঁধে। কোথায় ব্যবস্থা? কোথাও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। আমার এজেন্টকে বসতে দেয়নি। চেয়ার পর্যন্ত দেয়নি। এজেন্টকে এক ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এদিকে সিপিএমের প্রার্থী ও সিপিএমের অপর নেতা রাস্তায় অবস্থানে বসলেও পুলিশ ছিল কার্যত নিরব দর্শক। তবে ওই এলাকায় সন্ত্রাসের অভিযোগ মানতে চাননি তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ৩৪ বছরে ভোটের নামে বিরোধীদের সঙ্গে কী আচরণ করা হত তা গোটা বাংলার মানুষ জানেন। তবে এদিনও সেই পথে হাঁটেনি শাসকদল। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে এদিন প্রতি পদে সিপিএমের সাংগঠনিক দুর্বলতার দিকটি প্রকাশ্যে আসে। তবে কোনও সংঘাতে না জড়িয়ে এদিন বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান বিক্ষোভের কর্মসূচিই গ্রহণ করেন সিপিএম নেতৃত্ব।