প্রাথমিক টেটের পরীক্ষার্থীরা দিনের পর দিন অপেক্ষা করছেন চাকরির জন্য। দিনের পর দি🐼ন ধরে আন্দোলন। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। এবার সেই নিরিখে বড় পদক্ষেপ নিলেন টেটের চাকরিপ্রার্থীরা।তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের বাড়ির সামনে পোস্টার নিয়ে হাজির হলেন টেট চাকরিপ্রার্থীরা। কলকাতায় কুণাল ঘোষের বাসভবনের সামনে হাজির হন তা𝓰ঁরা।
এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ যেভাবে টেট চাকরিপ্রার্থীরা রাস্তায় নেমে পড়েছেন তাতে পুলিশও দিশেহারা হয়ে গিয়েছে। এদিকে এক চাকরিপ্রার্থী জানিয়েছেন, চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে তিনি ( kunal Ghosh) কথা বলেছেন আমরা দেখেছি। আমরা যখন বিকাশভবনে গিয়েছিলাম তখন তিনি বলেছিলেন, এখানে নয়, অন্য জায়গায় কথা বলব। কাল দেখলাম উনি আমাদের নিয়ে কিছু বক🐻্তব্য রেখেছ🐭েন। সেক্ষেত্রে অন্তত পাঁচটি মিনিট দেখা করুন। সরকার পক্ষ কেউ তো আমাদের সঙ্গে কথা বলুন। আমরা তো দিশেহারা অবস্থার মধ্য়ে পড়েছি।
এদিকে কুণাল ঘোষ আবার এদিন এসএলএসটি চাকরি প্রার্থীদের পক্ষ নিয়ে কথা বলতে, তাঁদের দাবির কথা শিক্ষা দফতরকে জানাতে বিকাশ ভবনে যান। সেখানে মন্ত্রীর পাশাপাশি এসএসসি কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। সেখানে আইনি জটিলতার নানা দি𓂃ক নিয়ে তাঁদের মধ্য়ে কথাবার্তা হয়েছে। সেই মিটিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা সচিব, এসএসসির চেয়ারম্যান সহ একাধিকজন ছিলেন।
কুণাল ঘোষ বলেন, এসএলএসটি নিয়োগের আইনি জট প্রবলভ𝄹াবে রয়েছে। কর্মপ্রার্থীদের প্রতিনিধিদল আমার কাছে এসেছিলেন। আমি সরকারের কেউ নই। কোনও সরকারি পদে নেই। এসএলএসটি যারা আন্দোলন করছেন সেকারণে তাদের যদি সাহায্য করা যায় সেই চেষ্টাটা করি। তার ভিত্তিতে শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলাম। আমি কর্মপ্রার্থীদের বক্তব্য কেবলমাত্র তাঁদের কাছে তুলে ধরেছি। এখানে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। আগের বৈঠকে যেটা ঠিক হয়েছিল আইনের মতামত নেওয়া হবে। আন্দোলনকারীরা আইনের জট থেকে বেরিয়ে আইনি শর্তসাপেক্ষে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা যায় কি না। সরকার শূন্যপদের তালিকা তৈরি করবে। কোনও কোর্টের রায়ে এই প্রক্রিয়া বানচাল হয়ে যায় সেটা মেনে নিতে হবে। আগামী তিন চারদিনের মধ্যে শীর্ষস্তরের আইনি মতামত নেওয়া হবে। আইনি শর্তাধীন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা যায় কি না সেটা দেখা হবে। তাতে সরকারের প্রতিনিধিরা কোনও নেতিবাচক মতামত দেখাননি। শূন্যপদ কী কী রয়েছে তা তৈরি করতে বলা হয়েছে। তবে আমি সরকারের কেউ নই।