ফের বিতর্কে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এবার নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, মূল্যায়ন ছাড়াই পড়ুয়াদের নম্বর দেওয়া হয়েছে। প্রায় ৫০ জন পড়ুয়াকে এভাবে মূল্যায়ন ছাড়া নম্বর দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। সাংবাদিকতা বিভাগে এই অভিযোগ উঠেছে। 🧔পড়ুয়ারা খাতা রিভিউ করলে জানতে পারেন মূল্যায়ন করা হয়নি। যারফলে অনেকে কম নম্বর পেয়েছেন। তবে অধ্যাপক এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ছাত্ররা সোমবার ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তের সঙ্গে তাঁর অফিসে দেখা করেন। সেখ🅠ানেই তারা এ বিষয়টি জানতে পারেন। জানা যায়, পড়ুয়ারা জুলা🌜ই মাসে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। এই বছরের অগস্টে ফল বেরোয়। তবে নম্বর নিয়ে ক্ষোভ ছিল পড়ুয়াদের। তাই খাতা রিভিউ করা হয়। তাতেই দেখা যায় ৫০ টি খাতায় নম্বরে গরমিল রয়েছে।
এবিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সাত্যকি ভট্টাচার্য বলেছেন, তিনি এনিয়ে মন্তব্য করতে পারেন না। উপাচার্য এই সমস্যাটির সমাধান করতে পারেন। সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম বিভাগের প্রধান পার্থ সারথি চক্রবর্তী বলেছেন, মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অধ্যাপকের সঙ্গে কথা বলবেন। যাদের বিরুদ্ধে উত্তর পত্র মূল্যায়ন না করার অভিযোগ তা খতিয়ে দেখা হবে।ইন্টারডিসিপ্লিনারি স্টাডিজ, ল অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ফ্যাকাল্টির ডিন জয়দীপ মুখোপাধ্যায় জানান, পড়ুয়াদের কিছু অভিযোগ ছিল। সংশ্লিষ্ট অধ্যাপককে ডাকা হয়েছে। মঙ্গলবার উপাচ⭕ার্যের সঙ্গে আলোচনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এক ছাত্রী জানান, ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের অফিসে গিয়ে তারা জানতে পারেন অধ্যাপক খাতা না দেখেই উত্তর পত্র জমা দিয়েছেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সহকারী অধ্যাপক অভিষেক দাস। তিনি বলেছেন, খাতা ঠিকমতো দেখার পরেই জমা দেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনা সামনে আসতেই পড়ুয়াদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হ🐼য়। তারা দীর্ঘক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করেন। কীভাবে একজন অধ্যাপক এতগুলি খাতা না দেখে নম্বর দিলেন তাই ন♛িয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পড়ুয়ারা। এদিন এই ঘটনার প্রতিবাদে দীর্ঘক্ষণ ধরে অরবিন্দ ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেন। এদিন কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে না আসায় মঙ্গলবার বৈঠক করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পুরো অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।