গত বছর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় র্যাগিংয়ের অভিযোগকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয়েছিল গোটা রাজ্য। সেই ঘটনার পরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা রাজ্যে। র্যাগিং রুখতে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজগুলিকে কড়া নির্দেশ দিয়েছিল ইউজিসি। তা সত্ত্বেও অব🌟স্থার যে বিশেষ বদল হয়নি তার ফের প্রমাণ মিলল। এবার র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠল রাজ্যের প্রথম সারির সরকারি হাসপাতাল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। দুজন জুনিয়র পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট𒊎্রেনিকে চার মাস ধরে র্যাগিং করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এক্ষেত্রে কাঠগড়ায় কলেজের সিনিয়ররা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: র্যাগিং হয়েছে? কড়া ব্য🥂বস্থার জন্য তৈরি থাক, কড়া নির্দেশিকা জারি UGC-র
অভিযোগ অর্থপেডিকের এক পিজিটিকে ইলেকট্রিক কেটলি, বোতল দিয়ে মারধর করা হয়েছে। এ ছাড়া অন্যজনকে তলপেটে ঘুষি মারার ফলে ওই ছাত্র অচেতন হয়ে পড়েন। ঘটনার পর মঙ্গলবার অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাসের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন দুই ছাত্র। শুধুমাত্র ওই দুই ছাত্রকে মারধর নয় , মানসি🧸ক অত্যাচার এবং গায়ে থুতু ফেলার অভিযোগও সামনে এসেছে। ঘটনা🔴য় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন দুই ছাত্র। বিষয়টি সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি উঠেছে। এই বিষয়টি অ্যান্টি-র্যাগিং কমিটির তদন্তের অধীনে নিয়ে আসা হয়েছে। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য সুপারিশ করবে।
জানা গিয়েছে, অর্থোপেডিক বিভাগের ইউনিট-১-এর প্রথম বর্ষের ওই দুই পিজিটির নাম–বিট্টু ধর এবং জনসন প্রবীণ অম্বেডকর। দ্বিতীয় বর্ষের দুই পড়ুয়া চিಞকিৎসক তাদের উপরে র্যাগিং চালাচ্ছিল। শুধু হস্টেলে নয়, ওয়ার্ডে এমনকী অপারেশন থিয়েটারের মধ্যেও তাদের মারধর করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। অন্যান্য চিকিৎসকরা বা কেন সরব হলেন না? তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই ঘটনার পরে সরব হয়েছে মেডিক্যাল কলেজের স্টুডেন্ট ইউনিয়ন। তারা দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছে। অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এতদিন কেউ তাঁকে জানাননি। বিষয়টি জানার পরে তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির বৈঠকও ডাকা হয়েছে। তাতে উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলা হবে। সেক্ষেত্রে বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।