স্কুল, হাইস্কুলে ভালো নম♛্বর থাকলেও তা কাজে আসছে না! কারণ, সেই নম্বর বিবেচনা করার অনেক আগেই নাকচ হয়ে যাচ্ছে চাকরির আবেদন। কারণ, ১০ জনের মধ্যে আটজন আবেদনকারীই একটি বিশেষ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারছেন 🐽না। তা হল - ৮ মিটার লম্বা একটি সিমেন্টের খুঁটির একেবারে মাথা পর্যন্ত বেয়ে ওঠা!
গোলমেলে ঠেকছে? একটু তাহলে ভেঙেই বলা যাক। 'ক♈র্ণাটক বিদ্যুৎ সরবরাহ নিগম ജলিমিটেড' (কেপিটিসিএল)-এর তরফে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। গ্রুপ-ডি বা চতুর্থ শ্রেণির পদ হলেও সরকারি চাকরি বলে কথা! তাই, আবেদন করার লোকেরও অভাব হচ্ছে না।
কিন্তু, চাকরিপ্রার্থীদের প্রথমেই বলা হচ্ছে, চাকরি পেতে হলে সবার আগে ওই ৮ ফুট লম্বা কংক্রিটের খুঁটিতে সটান উঠে পড়তে হবে! কি🐓ন্তু, বেশিরভাগ চাকরিপ্রার্থীই তা করে উঠতে পারছেন না।
কেপিটিসিএল ছাড়াও আরও পাঁচটি বিꦚদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা একই পদে নিয়োগ করছে। কেপিটিসিএল এবং এই পাঁচটি সংস্থা - সব মিলিয়ে প্রায় ৩,০০০ গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ করা হবে বলে দাবি সূত্রের।
কিন্তু, সর্বক্ষেত্রেই একই সমস্যা। টাইমস অফ ইন্ডিয়া-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, এমন একাধিক চাকরিপ্রার্থী রয়েছেন, যাঁদের স্কুল ও হাইস্কুলের রেজাল্ট যথেষ্ট ভালো। কিন্তু, খুঁটিতে চড়তে গিয়ে বেসামাল ꦅহয়ে পড়ছেন তাঁরা। ফলত, চাকরি মিলছে না।
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন অনুসারে, যে পদগুলিতে নিয়োগ চলছে, সেগুলির পোশাকি নাম - জুনিয়র স্টেশন অ্য়াটেনড্য🌄ান্ট (জেএসএ) এবং জুনিয়র পাওয়ারম্যান। ২০১৫ সাল থেকে এই দুই পদে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে 'পোল ক্লাইম্বিং টেস্ট' বা খুঁটিতে চড়ার পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হয়।
এদিকে, এই সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়𒁃া নিয়ে বিতর্কও শুরু হয়েছে। কন্নড়পন্থী গোষ্ঠীগুলি এই প্রত্যক্ষ নিয়োগের বিরোধিতা করে প্রতিবাদে সামিল হয়েছে।
তাদের দাবি হল, এভাবে নিয়োগ করা যাবে না😼। ব🐼দলে কর্ণাটক পাবলিক সার্ভিস কমিশন (কেপিএসসি) অথবা কর্ণাটক এক্সামিনেশন অথোরিটি (কেইএ)-এর দ্বারা আয়োজিত লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে এই নিয়োগ করতে হবে।
কেপিটিসিএল-এর আধিকারিকদের উদ্ধৃত করে সংশ্লিষ্ট প্রতিꦬবেদনে জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র খুঁটিতে চড়ার পরীক্ষা থাকার জন্যই আবেদনকারীদের মধ্যে ৮০ শতাংশ প্রথমেই ব্যর্থ হচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে যাঁরাই সংশ্লিষ্ট দু'টি পদে চাকরির জন্য আবেদন করবেন, তাঁদের খুঁটিতে চড়ার পরীক্ষা পাস করতে হবে। কারণ, বিভিন্ন মহকুমায় কেপিটিসিএল এবং সংশ্লিষ্ট পাঁচটি বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থার যে কার্যালয় রয়েছে, সেগুলির সবক'টিতে খুঁটি✨র উপরে ওঠার জন্য প্রয়োজনীয় যান্ত্রিক বা প্রযুক্তিগত কোনও ব্যবস্থাপনা নেই!