প্রায় ১১ বছরের আইনি লড়াইয়ের পর ক꧑ার্টুনকাণ্ডে পূর্ব যাদবপুর থানায় তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলা থেকে নিষ্কৃতি পেলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র। শুক্রবার রাতে আদালতের এক নির্দেশনামা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে একথা জানিয়েছেন অধ্যাপক নিজে। আদালতের এই নির্দেশকে নাগরিকের বাকস্বাধীনতার জয় বলে দাবি করেছেন তিনি। সঙ্গে গ্রেফতারির আগে যে তৃণমূল নেতারা আয়োজন করে তাঁকে মারধর করেছিলেন তাঁদের গ্রেফতারি দাবি করেছেন অধ্যাপক।
২০১২ সালের ১২ এপ্রিল অম্বিকেশ মহাপাত্রের বিরুদ্ধে ক𒀰লকাতার পূর্ব যাদবপুর থানায় FIR দায়ের হয়। তৎকালীন রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদীর অপসারণ ও মুকুল রায়কে সেই আসনে বসানো পর একটি কার্টুন শেয়ার করেছিলেন অম্বিকেশবাবু। এর জেরে স্থানীয় তৃণমূলি দুষ্কৃতীরা তাঁকে 𒈔বাড়িতে এসে মারধর করে বলে অভিযোগ। এর পর তাঁর বিরুদ্ধে পূর্ব যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। গভীর রাতে তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে থানায় আটকে রাখে পুলিশ।
২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর আলিপুর আদালতের চিফ জুড🐲িশিয়ার ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে অভিযোগ প্রত্যাহারের আবেদন জানান অম্বিকেশবাবু। সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। এর পর অ্যাডিশনাল সেসন জজের এজলাসে অভিযোগ প্রত্যাহারের আবেদন জানান তিনি। সেই আবেদন গৃহীত হয়েছে।
আইনিভাবে মামলা প্রত্যাহারের পর এদিন অম্বিকেশবাবু বলেন, এই মামলার কোনও আইনি সারবত্তা ছিল না। রাজ্য সরকার তার পুলিশ ও গুন্ডাদের দিয়ে মামলাটাকে জীবিত রেখেছিলেন। অবশেষে আদালত সেই মামলা থেকে আমাকে নিষ্কৃতি দিয়েছে। কিন্তু🀅 যারা মারধর করেছিল 🌃তাদের বিরুদ্ধে আমার করা FIR-এ এখনো কেউ সাজা পায়নি। ন্যায়বিচারের স্বার্থে তাদের সাজা পাওয়া দরকার।
মমতা ক্ষমতায় আসার𒈔 পর থেকে তাঁর স্বৈরতান্ত্রিক চেহারাটা বেরিয়ে পড়েছিল। কেউ তার সমালোচনা করতে পারবে না, ব্যঙ্গ করতে পারবে না। করলে হামলা করবে। অম্বিকেশ মহাপাত্র সেই আগ্রাসনের প্রথম শিকার ছিলেন। এই মামলায় অম্বিকেশবাবুর জয় অবিশ্যম্ভাবী ছিল। তবে এর থেকে ওদের শিক্ষা হয়নি। এখনো বিভিন্ন পোর্টেলের লোকজনকে ডেকে ধমকাচ্ছে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক //htipad.onelink.me/277p/p7🅰me4aup