তখন তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে জোর আক্রমণ করে চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সোনার বাংলা গড়বে বিজেপি বলে সুর চড়ান অমিত শাহ। ধর্মতলার মঞ্চ থেকে একের পর এক বাক্যবাণ নিক্ষেপ করছিলেন তিনি। এমন আবহে কর্মী–সমর্থকদের পেটে টান পড়ে। যা খাবারের ব্যবস্থা বিজেপি করেছিল তা পর্যাপ্ত নয়। তাই আধপেটা খাবার আগেই হজম হয়ে গিয়েছে। কিন্তু খাবার তো আর রাজনীতির রং মানে না। এই পরিস্থিতিতে বুধবার অমিত শাহের সভা চলাকালীন অভিনব উদ্যোগ নিল ‘মা ক্যান্টিন’। ভরদুপুরে ভাত–সবজি–ডিম মুখে তুলে দিয়ে খি🅺দে মেটাল বহু বিজেপি কর্মী–সমর্থকদের।
♛ শুনতে অবাক লাগলেও এটাই বাস্তবে ঘটেছে বুধবার ধর্মতলায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚরী অমিত শাহের মেগা সভায়। এখানে দূর–দূরান্ত থেকে কর্মী–সমর্থকদের নিয়ে আসা হয়েছিল। যাতে ভিড় দেখানো যায়। তাই বিজেপি কর্মী–সমর্থকদের অভিমুখ ছিল ধর্মতলার দিকে। তাই দূরবর্তী জেলা থেকে সভা মঞ্চে পৌঁছে অনেক বিজেপি কর্মী ছিলেন ক্লান্ত। জেলার নেতাদের সঙ্গে আসার ফলে দুপুরের খাবার পেয়েছেন। আবার বহু কর্মী নিজের পার্টির সর্বভারতীয় নেতার বক্তব্য শুনতে এসেছেন পরিবার নিয়ে। একাও এসেছেন অনেকে। তবে তাঁদের পেটে খাবার জোটেনি। তাই খিদের জ্বালা মেটাতে অনেক বিজেপি কর্মীদের দেখা গেল ‘মা ক্যান্টিন’–এর ভাত খেতে।
একের পর এক বিজেপি কর্মী–সমর্থক হাতে তুলে নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড়ে তোলা মা ক্যান্টিনের খাবার। এমনকী খাবার যে বেশ সুস্বাদু তাꦦও বলে গেলেন ক্যান্টিনে থাকা কর্মীদের। এমন খিদেয় ৫ টাকা দিয়ে গরম খাবার খেয়ে তাঁরা চমকে উঠেছেন। তবে এই খাবার খেতে গিয়ে রং দেখেননি তাঁরা। শুধু দুপুরের খাবার খেয়ে সকলের মুখে একটাই কথা শোনা গেল—বাবা বাঁচলাম। রাজ্য সরকারের এই ক্যান্টিনে দুপুরের খাবার খেয়ে অমিত শাহের ভাষণ শুনতে আসা বরুণ মালাকার বলেন, ‘আমি পূর্ব বর্ধমান জেলা থেকে এসেছি। ভোরে বেরিয়ে অমিত শাহের বক্তব্য শুনতে এসেছি। কিন্তু ভাত পাইনি। তাই এখানে খাচ্ছি। খুব খিদে পেয়েছে।’
আরও পড়ুন: ‘আগামীর বিরাট লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হন সকলে’, জনগণের উদ্দেশে ফেসবুক 🥃পো𝄹স্ট মমতার
এমন অনেকেই দুপুরের খাবার খেয়েছেন। আর এই খাবার খেয়ে পেট ভরিয়ে শুনেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষণ। বুঝেছেন ভাষণ শুনে পেট ভরবে না। তবু এসেছেন বাংলার কথা শুনতে। অনেকে নিজের নাম বলতে চাননি। শুধু বলেন, ‘ছাড়ুন না দাদা। খিদের ও খাবারের কি কোনও রং হয়? দূরের জেলা থেকে এসে বিপদে পড়ে গিয়েছি। ভেবে ছিলাম এখানে পার্টি খাবার দেবে। সেটা তো পেলাম না। তাই না খেয়ে কি থাকা যায়? কাছꦦেই দেখলাম ৫ টাকায় গরম খাবার মিলছে। সেটাই খেলাম। পেট ভরল। এবার ফিরব সকলে।’ রেশন দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। আর রাজ্যের মা ক্যান্টিন মাত্র ৫ টাকার বিনিময়ে পেট ভরাল বিজেপি কর্মী–সমর্থকদের।