ꦍ নন্দীগ্রাম হবে সন্দেশখালি। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করতে শনিবার সকালে দিল্লি উড়ে যাওয়ার আগে দমদম নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এমনই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, সন্দেশখালির বুঝিয়ে দিয়েছে তারা নরেন্দ্র মোদীকে ভরসা করছে।
আরও পড়ুন: 🌠‘সন্দেশখালির সমাধান হল আফস্পা’, এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপিকে বড় পরামর্শ তথাগতর
🐭এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘সন্দেশখালির মানুষ বশ্যতা বিরোধী সংগ্রামে নেমেছেন। নন্দীগ্রামে যে যে কারণে মানুষের ক্ষোভ ছিল এখানে সব ক’টা কারণই করেছে। ওখানে জমি অধিগ্রহণের বিরোধিতা দিয়ে শুরু হয়েছিল। এখানে নারীদের ওপর, মায়েদের ওপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে মানুষ প্রথম সংগ্রাম করেছে। এছাড়া জমি দখল একটা বড় ইস্যু। আর এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর থেকে মানুষ কোনও ভোট দিতে পারেনি। লোকসভা - বিধানসভা নির্বাচনেও ভোট দিতে পারেনি। কার্ড নিয়ে নেওয়া হত। ভোট লুঠ, গণতন্ত্র হত্যা, সীমাহীন নারী নির্যাতন আর জমি দখল, এই তিনটে বড় ইস্যু নিয়ে বশ্যতাবিরোধী সংগ্রাম হচ্ছে। আর মানুষ বিজেপিকে ভরসা করছে’।
🥃তাঁর দাবি, ‘আমি ওখানকার যারা বামপন্থী ভোটার তাদের সঙ্গেও কথা বলেছি। তারা বলেছে, আমরা বিজেপিকেই ভরসা করি। সেদিন তো আপনারা দেখেছেন, বৃন্দা কারাটের সন্দেশখালি যেতে হাই কোর্টের অনুমতি লাগেনি। যেহেতু সিপিআইএম করেন, সেটিংটা আছে। বৃন্দা কারাতরা ছিলেন, আমিও ছিলাম। মানুষ কাকে গ্রহণ করেছেন সেটা সবাই দেখেছেন। আমরা তো আর লোক জড়ো করতে পারিনি। সেদিন প্রথম ঢুকেছি। সেদিন মানুষ বলে দিয়েছে তারা নরেন্দ্র মোদীকে ভরসা করছে’।
🥃জবাবে তৃণমূলের এক মুখপাত্র বলেন, শুভেন্দুবাবু একটা ভুল করছে। নন্দীগ্রামে সিপিএম সরকারের পুলিশ সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল। তাতে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু সন্দেশখালিতে তেমন কিছু ঘটেনি। এই পুলিশ ট্রিগার হ্যাপি নয়। তাছাড়া শুভেন্দুবাবু সন্দেশখালিতে যেখানে গিয়েছিলেন সেই বুথে ২০২১ সালের ভোটেও জিততে পারিনি। সেখানে গেলে তো লোকে তাঁর মাথায় ফুল ছেটাবেই। তার মানে এই নয় যে সন্দেশখালির মানুষ বিজেপির সাথে আছে।
আরও পড়ুন: 🌜মেট্রোর কাজ- ট্রায়ালের পরে চিংড়িঘাটায় ৭৫ দিনের ‘ব্লক’, এখন কোন পথে যাবে গাড়ি?
♐সূত্রের খবর, দিল্লিতে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করে রবিবার কলকাতা ফিরবেন শুভেন্দুবাবু। সন্দেশখালি নিয়ে রণকৌশল ঠিক করতেই তাঁর এই সফর বলে মনে করা হচ্ছে। সঙ্গে পরিকল্পনা হতে পারে আগামী মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পশ্চিমবঙ্গ সফর নিয়েও। ওই সফরে সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।