সোনা পাচারে যুক্ত ছিলেন নিউ টাউনে খুন হওয়া বাংলাদেশি সংসদ সদস্য আনোয়ারউল আজিম আনার। খুনের খবর নিশ্চিত করেই এই তথ্য জানিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের দেওয়া সেই তথ্য পত্রপাঠ খারিজ করেন বাংলাদেশের শাসকদল আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক ওবাইদুল কাদের। কিন্তু তদন্ত যত এগোচ্ছে তত সেদেশের সংবাদমাধ্যমেই উঠে আসছে আনারের গুণপনা। জানা গিয়েছে, ছাত্রাবস্থা থেকেই অন্ধকার জগতের সঙ্গে যোগ আনারের। চরমপন্থী ও জঙ্গিদের অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এমনকী আত্মীয়দের নৃশংসভাবে খুন ও খুনের চেষ্টায় অভিযুক্ত ঝিনাইদহ ৪ আসনের সংসদ সদস্🌳য।
আরও পড়ুন: এবার রাজপথে ‘মৃত্যুঘণ্টা’ বাজালেন মমতা, নেপথ্যে সেই পরেশ পাল, BJP-র প্রশ😼꧂্ন কার?
পড়তে থাকুন: সরকারি শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ৮ সপ্তাহ সময় দি🙈ল হাইকোর্ট
বাংলাদেশি সংবাদমা⛄ধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুসারে আনার আসলে একজন মাফিয়া ডন। ছাত্রাবস্থা থেকেই সোনা, মাদক, অস্ত্র পাচার, খুন, ষড়যন্ত্রের মতো অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। আর নিজের ♐অপকর্মকে আড়াল করতে রাজনীতিকে ব্যবহার করেছেন তিনি।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, ছাত্র জীবনে এরশাদের জাতীয় পার্টি করতেন আনার। তখনই রীতিমতো কর্মী নিয়োগ করে সোনা পাচারের সিন্ডিকেট চালাতেন তিনি। ভারতের বাগদা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার করত সোনা। ঢাকা থেকে গাড়ি করে সোনা আনত ঝিনাইদহে। সোনা পাচারের জন্য ২৩টি মোটরসাইকেল কিনেছিল আনার। এর মধ্যে ১টি মোটরসাইকেল সে নিয়ে ব্যবহার করত। 🎃বাকি গুলি ব্যবহার করত তাঁর নিয়োগ করা পাচারকারীরা। বাইক পিছু পুলিশকে মাসোহারা দেওয়া থাকত। ফলে বাধা দিত না কেউ।
বাংলাদেশের চরমপন্থী ইসলামি জঙ্গি অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহের অভিযোগও রয়েছে আনারের বিরুদ্ধে। জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। মাদক ও সোনা পাচ♊ারের টাকার ভাগ দিতে স্থানী🥃য় দুষ্কৃতীদের। এভাবে দুষ্কৃতী ও জঙ্গিদের গড ফাদার হয়ে উঠেছিলেন তিনি।
শুধু তাই নয়, নিজের ঘনিষ্ঠ ও আত্মীয়দের খুনের অভিযোগ রয়েছে আনারের বিরুদ্ধে। শিমুল ভুঁইয়া নামে আনারের যে ভগ্নিপতির বিরুদ্ধে খুনের চক্রান্ত বাস্তবায়নের অভিযোগ রয়েছে, তার খুড়তুতো ভাই টুটুলের🏅 খুনের পিছনে আনারের হাত রয়েছে বলে মনে করা হয়।
আনারকে ধরতে এক সময় ইন্টারপোলের নোটিশ পর্যন্ত জারি হয়েছিল। বাংলা📖দেশ পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার ক𝔉রে নিয়ে যাওয়ার সময় দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়ে তাঁকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: শাহজাꦍহানের বিরুদ্ধে আজ চা꧟র্জশিট জমা পড়ল আদালতে, দুর্নীতির অভিযোগ ইডির
১৯৯৬ সালে আওয়ামি লিগে যোগদান করে আনার। তার আগে বেশ কয়েক বছন বিএনপি করতেন তিনি। ২০১৪ সাল থেকে লাগাতার তিন বার ঝিনাইদহ ৪ আসন থেকে সাংসদ নি༺র্বাচিত হন তিনি। সাং💧সদ হতেই তাঁর বিরুদ্ধে থাকা গুরুতর অভিযোগে দায়ের একের পর এক মামলা খারিজ হয়ে যেতে থাকে। মনে করা হয় দেশ বিদেশে কয়েক হাজার কোটির সাম্রাজ্য রয়েছে আনারের।