ꦏ রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন আগামী সোমবার ২২ জুলাই বসতে চলেছে। সর্বদলীয় বৈঠকের পর প্রথম দিন শোকপ্রস্তাবের মধ্য দিয়ে সভার অধিবেশন দিনের মতো মুলতুবি হয়ে যাবে। তারপরে কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে অধিবেশনের পরবর্তী সূচি ঠিক করা হবে বলে পরিষদীয় দফতর সূত্রে খবর। এই অধিবেশনে ১ জুলাই থেকে বলবৎ হওয়া দেশে তিনটি ফৌজদারি আইন নিয়ে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে একটি প্রস্তাব আনা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। পরিষদীয় দফতর থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সেখানে ২২ জুলাই বিধানসভার অধিবেশনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যার প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে।
🥃এদিকে সদ্য চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা। এই প্রার্থীদের শপথ গ্রহণ পর্ব দ্রুত সম্পন্ন করা হবে বলে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন। এই বিষয়ে সাংবাদিকদের বিমানবাবু বলেন, ‘পরিষদীয় দফতর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের অনুমতি চেয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। সেই অনুমতি না পাওয়া গেলে বিধানসভার অধিবেশনের শুরুতে জয়ী প্রার্থীদের শপথবাক্য পাঠ করাতে হবে।’ লোকসভা নির্বাচনের পর এটাই প্রথম বিধানসভা অধিবেশন। সুতরাং সেটা হবে দেখার মতো বলে মনে করা হচ্ছে। তার উপর বিধায়ক সংখ্যা বাড়বে তৃণমূল কংগ্রেসের। ফলে শক্তিবৃদ্ধি হবে।
আরও পড়ুন: 🍰‘আমরা খাল কেটে কুমির ঢেকে এনেছি’, দলের নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন কুণাল
🔯অন্যদিকে আগামী ২৩ জুলাই থেকে পুরোদমে বিধানসভার অধিবেশন চলবে। তবে সেখানে কী কী বিষয়ে আলোচনা হতে পারে সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। সূত্রের খবর, এই বিধানসভার অধিবেশন ১০ দিন বা তার কিছু বেশি সময় ধরে চলতে পারে। এই অধিবেশন নিয়ে রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানান, ২৩ জুলাই থেকে পুরোদমে বিধানসভার অধিবেশন চলবে। আরও জানা যাচ্ছে, এই বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কক্ষে হবে মন্ত্রিসভার বৈঠক। ২৩ তারিখ দুপুর ৩টে নাগাদ এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। এখানে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হতে পারে। তাই এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
🦹এছাড়া আর তিনদিন পর তৃণমূল কংগ্রেসের সবচেয়ে বড় কর্মসূচি একুশে জুলাইয়ের সমাবেশ। ধর্মতলায় তা হবে। যা এবার অন্যমাত্রা পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। ঠিক তার পরদিনই বিধানসভার অধিবেশন বসছে। সুতরাং রাজ্য–রাজনীতি আবার নতুন করে অক্সিজেন পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এবারের বিধানসভা অধিবেশনে নিট নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রস্তাব আলোচনার জন্য আসতে পারে। একইভাবে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা বিলের বিরুদ্ধেও প্রস্তাব আসতে পারে। কদিন আগেই মুম্বই থেকে ফেরার পথে বিমানবন্দরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, নিট এবং ভারতীয় ন্যায় সংহিতা বিলের বিরুদ্ধে প্রস্তাব রাজ্য বিধানসভায় নিয়ে আনা হবে। তাই বিরোধীদের ভূমিকাও দেখা যাবে। তাঁদের বিধায়ক সংখ্যা কমেছে।