দক্ষিণ চিন সাগরে হারিয়ে যাওয়া মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের স্মৃতি ফিরে এল কলকাতায়। গত শনিবার মাঝ রাতে চেন্নাইয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা স্পাইসজেট বিমানের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় কলকাতা বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর ফের ওই বিমানটির সঙ্গে অবশ্য যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়।কিন্তু কেন বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল, তার তদন্তে নেমেছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন।জানা গিয়েছে, গত শনিবার মাঝরাত ১২টা ৫০ মিনিট নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দর থেকে ৫০ জন যাত্রীকে নিয়ে চেন্নাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় স্পাইসজেটের একটি বিমান।আধ ঘণ্টার মধ্যে কলকাতা বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিমানটির।মালয়েশিয়ান এয়ারাইন্সের সঙ্গে যেমন আর কখনই যোগযোগ স্থাপন করা যায়নি, এক্ষেত্রে অবশ্য তা কিন্তু ঘটেনি। কলকাতার এটিসির সঙ্গে স্পাইসজেটের বিমানটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও মনিটরে অবশ্য বিমানটির অবস্থান দেখতে পাচ্ছিলেন এটিসির কর্মীরা।অন্য বিমানের পাইলটের মারফত যাতে স্পাইসজেটের বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ করানো যায়, সেই চেষ্টাও করা হয়।কিন্তু কিছু লাভ হয়নি। কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রে খবর, শেষ পর্যন্ত রাত ২টো ১০ মিনিটে বিশাখাপত্তনম বিমানবন্দরের এটিসির সঙ্গে বিমেনটির যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হয়। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন এটিসির অফিসাররা।প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, বিমানের রেডিও কমিউনিকেশন যন্ত্রে সমস্যা দেখা দেওয়ায় পাইলট যোগাযোগ করতে পারেননি। এটিসির এক কর্তা জানান, দেড় ঘণ্টা বিমানের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার ঘটনা সাধারণত ঘটে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগের পরিস্থিতি তৈরি হয়।