গত ১৪ অগাস্ট রাতে আরজি কর মেডিক্যালে হামলার নেপথ্যে ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক অতীন ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই তিনি এই কাজ করেছেন। এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার কোলাঘাটে এক সাংবাদিক বৈঠকে একথা বলেন তিনি। শুভেন্দুবাবুর দাবি, নিজে মুখে একথা স্বীকার করে নিয়েছেন অতীনবাবু নিজেই।শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘অতীন ঘোষ বলেই দিয়েছে ১৪ তারিখে রাতে আরজি করের ভাঙচুরের ঘটনা তিনিই করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে করেছেন। ১৩ তারিখে ফোন আর ১৪ তারিখে ভাঙচুর। সিবিআই এখনও অতীন ঘোষকে ডাকেনি। অতীন ঘোষকে ডাকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ডাকা যেতে পারে। দুজনকে সামনাসামনি বসালে আর ফোন রেকর্ডগুলো দিলে সবটাই পরিষ্কার হয়ে যাবে।’গত বৃহস্পতিবার দলের এক বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে নাম না করে অতীন ঘোষ বলেন, ১৩ অগাস্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে ফোন করে বলেন। কারা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ৫ বার মিটিং করেছে খোঁজ নে তো। বলা বাহুল্য তাঁর নিশানা ছিল কলকাতা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর কাকলি সেন ও তাঁর স্বামী তৃণমূল নেতা শান্তনু সেনের দিকে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে আরজি করে হামলা চালাতে বলেছেন এমন কোনও কথা বলেননি তিনি। বলে রাখি, গত ৯ অগাস্ট সকালে আরজি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। ১৩ অগাস্ট সেই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। তার পরদিন গভীর রাতে আরজি কর মেডিক্যালের এমারজেন্সি বিল্ডিংয়ে হামলা চালায় উন্মত্ত দুষ্কৃতীরা। ব্যাপক ভাঙচুর করা হয় হাসপাতালের এমারজেন্সি বিভাগসহ একাধিক জায়গায়। অভিযোগ, হামলাকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নার্সদের বাড়ি থেকে আনা পোশাক পরে মহিলাদের শৌচাগারে লুকান পুরুষ পুলিশকর্মীরা।