এবার সাত বছরের অটিস্টিক শিশুকে নিগ্রহ করার অভিযোগ উঠল স্বয়ং স্পিচ থেরাপিস্টের বিরুদ্ধে। এই শিশুটি কথা বলতে পারে না বলেই স্পিচ থেরাপিস্টের কাছে দিয়েছিল বাবা–মা। কিন্তু সেখানে যে নিষ্ঠুর, নির্মম অত্যাচার নেমে আসবে শিশুটির উপর তা কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। খাস কলকাতার বেলেঘাটায় 𝔍এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। এখানেই এক হাত দিয়ে স্পিচ থেরাপিস্ট চেপে ধরেন শিশুটির দু’হাত। আর অন্য একটি হাত দিয়ে কখনও ঘুষি, কখনও জোরে টোকা মারা হচ্ছে। আর ‘ভাইব্রেটর ব্রাশ’ দিয়ে চোখে খোঁচানো পর্যন্ত হয় বলে অভিযোগ তুলেছেন শিশুর বাবা–মা। আর ওই শিশুটি নিজেকে আঘাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে কাঁদতে থাকে।
এদিকে বেলেঘাটার🅘 আশুতোষ শাস্ত্রী রোডে এই স্পিচ থেরাপি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, একটি ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল) সেখানকার প্রকাশ্যে এসেছে। যার প্রেক্ষিতে শিশুটির মা ওই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভিডিয়ো ফুটেজও পুলিশকে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ উদ্ধার করেছে ভাইব্রেটর ব্রাশটি। আর ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৪ এবং জুভেনাইল জাস্টিস আইনের ৭৫ ꦉনম্বর ধারায় মামলা দায়ের করেছে বেলেঘাটা থানা। ওই স্পিচ থেরাপিস্টকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
অন্যদিকে দু’দিন আগেই এক অটিস্টিক যুবককে রাসবিহারীꦫ মোড়ের রাস্তায় ফেলে মারধর করে তিনজন। টালিগঞ্জ থানা তাদের আটক করে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের সামনে পেশ করলে ১০ দিন ওই তিনজনকে হোমে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। তার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার নিগ্রহ নেমে এল সাত বছরের শিশু𒊎র উপর। যা নিয়ে এখন আলোড়ন পড়ে গিয়েছে শহরে। ওই শিশুর বাড়ি মৌলালিতে। তবে এই ঘটনার কথা স্বীকার করেছে ওই স্পিচ থেরাপি কেন্দ্র এবং সেখান থেকেও পুলিশ অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুജতি সভায় হাজির সহ–উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, বিতর্ক চরমে
ঠিক কে, কী বলছেন? এই ঘটনা নিয়ে গোটা কলকাতা শহরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।💖 প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কেন এভাবে নিগ্রহ করা হচ্ছে অটিস্টিক আক্রান্তদের? এই ঘটনার পর বেলেঘাটার ‘দীপরঞ্জনী ফাউন্ডেশন’ সেন্টারের প্রধান অমৃতা পাণ্ডা সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘শিশুটির মধ্যে কথা বলতে না পারার অটিজম রয়েছে। গত নভেম্বর মাস থেকে শিশুটি আমাদের প্রতিষ্ঠানে আসছে। এই আবাসনের চারতলায় ওপিডি ইউ﷽নিট রয়েছে। অভিযুক্ত স্পিচ থেরাপিস্ট অপ্রতিম দাসের মালিকানাধীন এই স্পিচ থেরাপি সেন্টারে ক্লাস চলে। সপ্তাহে একদিন অপ্রতিম দাস ক্লাস নেন। গত ১২ জুলাই এই ঘটনা ঘটে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে পুরোটাই ধরা পড়েছে।’ যদিও অভিযুক্ত শিক্ষক অপ্রতিম দাস সব অস্বীকার করে বলেন, ‘বহু বছর এই পেশায় আছি। এখনও বহু বাচ্চাকে শেখাচ্ছি। ভুল কথা বলা হচ্ছে।’ আর শিশুটির মা বলেন, ‘ছেলে প্রচণ্ড আতঙ্কে আছে। ঘুমোতে পারছে না। আমাকে আঁকড়ে ধরে রয়েছে। অসহায় বাচ্চাটাকে এভাবে কেন মারলেন, জানি না।’