মঙ্গলবার থেকে কলকাতায় শুরু হতে চলেছে রাজ্য সরকারের শিল্প সম্মেলন। ঠিক তার আগে কলকাতায় তৃণমূল জমানায় সরকারি উদ্যোগে একের পর এক সভাগৃহ তৈরি💧র প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার এক সোস্যাল মিডিয়া পোস্টে তিনি দাবি করেন, জনগণের জন্য নয়, কাটমানির জন্য নিজেদের পছন্দের ঠিকাদারদের দিয়ে এই পরিকাঠামোগুলো তৈরি করেছে সরকার।
পোস্টে শুভেন্দুবাবু লিখেছেন, ‘আর্থিক সংকটে ভোগা🤡 সরকার অপ্রাসঙ্গিক পরিকাঠামো তৈরিতে সমানে মোটা টাকা খরচ করে চলেছে। উদাহরণস্বরূপ, বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টার তৈরির পর তারা নবান্ন সভাঘর নামে আরেকটি বিশাল সভাঘর বানিয়েছে। এর পরেও আলিপুরে আরও একটা ও মিলন মেলায় ১০০০০ বর্গ ফুটের কনভেনশন সেন্টার বানিয়েছে। তার পর আলিপুরো ৩০০ কোটি টাকা খরচ করে ধনধান্য কনভেনশন সেন্টার বানানো হয়েছে।’
এর পর কটাক্ষ করে বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, ‘বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন নামে পিকনিকের জন্য আরও একটা ১০০০০ বর্গফুটের প্রদর্শশালা তৈরি করা হয়েছে। যার খরচ কোনও ভাবেই ১৫০ কোটির কম নয়। এই টাকꦫা ব্যয় করা হয়েছে🃏 কেন্দ্রের স্মার্ট সিটি প্রকল্প থেকে।’
রাজ্য সরকারকে শুভেন্দু অধিকারীর প্রশ্ন, ‘এই সভাঘর, প্রদর্শশালাগুলি তৈরির আনুমানিক খরচ কত ছিল? তৈরির করতে শেষ পর্যন্ত কত খরচ হয়েছে? কোন ঠিকাদাররা ভবনগুলি তৈরি করেছেন? তাঁদের কী ভাবে নির্বাচন করা হয়েছে? এই ꧒ভবনগুলির কতবার ব্যবহার করা হয়েছে? ভবনগুলি ভাড়া দিয়ে কত টাকা আয় হয়েছে সরকারের?’
শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, ‘দরকার ছিল বলে এই ভবনগুলি তৈরি করা হয়নি। এই ভবনগুলি তৈরির কারণ, নিজেদের পছন্দে🌞র ঠিকাদারের কাছ থেকে পর্যাপ্ত কাটমানি পাওয়া যাবে বলে।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় সভাগৃহগুলির মানোন্নয়নে উদ্যোগী হন। একের পর এক সভাগৃহ তৈরিতে সরকার জলের মতো টাকা খরচ করেছে বলে অভিযোগ। বিরোধীদের দাবি, এই বিশাল ভবনগুলির কার্যত কোনও ব্যবহার নেই। সরকারি কর্মসূচি ও শাসকদল তৃণমূলের বৈঠকের জন্য ব্যবহার করা হয় এই ভবনগুলি। ভবনগুলি ভাড়া দিয়ে যা আয় হয় তাতে 🦋তাদের রক্ষণাবেক্ষণের খরচও ওঠে না। তবে তাতে কোনও হেলদোল নেই সরকারের। বিরোধী দলনেতার দাবি, জনকল্যাণে ꧒নয়, কাটমানি আদায় করতে জনগণের টাকায় তৈরি করা হয়েছে এই ভবনগুলি।