এবার আরজি কর নিয়ে ময়দানে নামছে আরএসএস। মহালয়ার দিন বড় কর্মসূচির আয়োজন করছে আরএসএস। তবে মহালয়ার দিন প্রতিবারই মিছিল করে আরএসএস। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। তাঁদের কথায় এই মিছিল মান༒ে পথ সঞ্চালন। তবে এবার সেই মিছিলে যুক্ত হচ্ছে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদের সুর। আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার প্রতিবাদও যুক্ত হবে মহালয়ার দিনের মিছিলে।
এনিয়ে ইতিমধ্যেই নানা ধরনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, ২রা অক্টোবর হেদুয়া থেকে তাদের কর্মসূচি শুরু হবে। মহালয়ার দিনের ওই মিছিলে🅷 আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদের প্রসঙ্গ তুলে ধরা হবে।
সূত্রের খবর, আরএসএস প্রভাবিত অপর একটি গণসংগঠনের উদ্যোগে গণতর্পণ কর্মসূচিও পালন করা হবে। আসলে মহালয়ায় প্রথাগতভাবে তর্পণ করা হয়। সেটা সাধারণত পরিবারের লোকজন তাঁদের প্রয়াত পরিজনদের জন্য তর্পণ কর্মসূচি পালন করেন। গঙ্গা বা অন্য কোনও জলাশয়ে এই তর্পণ কর্মসূচি অনু💟ষ্ঠিত হয়। তবে এবার হবে গণতর্পণ কর্মসূচি। সেখানে মূলত রাজ্যের শাসকদলের সন্ত্রাসের জেরে যাঁদের চিরদিনের জন্য এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে তাঁদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনার জন্য গণতর্পণ কর্মসূচির আয়োজন করা হবে। সেই কর্মসূচিতে সন্ত্রাসের জেরে মার যাওয়া ব্যক্তিদের পরিবার শামিল হবে। এই কর্মসূচিকে সফল করতে সবরকম উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ গোটা দেশজুড়ে। দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছিল আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ। দিনের পর দিন ধরে আন্দোলনে নেমেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সাধারণ মানুষও এই আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন। কলকাতার পাশাপাশি বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে 🎀প্রতিবাদ কর্মসূচি হয়েছে। নবান্ন অভিযানকে ঘিরেও বিরাট আলোড়ন পড়েছিল বাংলায়।
এদিকে জুনিয়র ডাক্তাররা তাঁদের ধর্না অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরে এসেছেন। স্বাস্থ্য ভবনের কাছাকাছি এলাকায় প্রতিবাদের স্লোগানে ভরিয়ে ফেলা হয়েছিল। তবে শুক্রবার ধর্না কর্মসূচি꧒ প্রত্যাহার করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আর পরের দিনই যাবতীয় স্লোগান মুছে দিয়েছ সরকার।
এদিকে একটা সময় দাবি করা হচ্ছিল যে আরজি কর নিয়ে মম💃তা বন্দ্যোপা♏ধ্য়ায় পরিচালিত সরকারের পাশে রয়েছেন আরএসএস নেতৃত্ব। তবে পরবর্তী সময়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পোস্টে গোটা বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে।
গত ৮ সেপ্টেম্বর,২০২৪, রবিবার কলকাতার রথীন্দ্র মঞ্চে একটি অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের পূজনীয় সরসঙ্ঘচালক ডঃ মোহন ভাগবত ভাষণ দেন। উপস্থিত দর্শকদের একজন ব্যক্তির পক্ষ থেকে একটি 👍প্রশ্ন আসে, ‘আর জি করের নির্মম অপরাধের পরে এই রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন কেন প্রয়োগ করছে না, এ বিষয়ে সঙ্ঘের মত কি?’
এই প্রশ্নের উত্তরে উনি বলেন যে, রাষ্ট্রপতি শাসন তো সরকার (কেন্দ্রীয়) জারি করবে। এবং এই বিষয়ে সরকারের সব সিদ্ধান্তকে সঙ্ঘ সমর্থন করবে। রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের কোন প্রসঙ্গই সেখানে ছিল না। আশা করি যেﷺসব প্রচার মাধ্যম ভুল খবরের ভিত্তিতে বিকৃত তথ্য পরিবেশন করেছেন বা অনুষ্ঠান করেছেন, তারা সমাধিক গুরুত্ব দিয়ে সঠিক তথ্য সম্প্রচার করবেন।
ধন্যবাদান্তে,
ভবদীয়,
বিপ্লব রায়।
প্রান্ত প্রচার প্রমুখ।
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ।
দক্ষিণবঙ্গ
লিখেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।