কলকাতার একটি কেন⛄্দ্রে পুনর্গণনা চেয়ে আবেদন জমা পড়ল আদালতে। এবার মানিকতলা কেন্দ্রে পুনর্গণনার আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে। সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহে এই মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে পুনর্গণনার আবেদন জানিয়ে মামলা দায়ের হয় আদালতে। সেই মামলাটি এখন আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
গত বিধানসভা ভোটে মানিকতলা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে পরাজিত হন তৃণমূল প্রার্থী সাধন পাণ্ডের কাছ। রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যে মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে একজন সাধন পাণ্ডে। তবে সাধনের কাছে তাঁর হেরে যাওয়াটা মেনে নিতে পারছেন না কল্যাণ। তাঁর মতে, গণনা যখন চলছিল, তখন তিনি দেখতে পান, তৃণমূল প্রার্থী সাধন পাণ্ডে তাঁর থ🏅েকে ৩ হাজার ৩৬৩টি ভোটে এগিয়ে আছেন। কিন্তু গণনা শেষে যখন ফল হাতে এল, তখন দেখা গেল প্রায় ২০ হাজার ভোটে সাধন জিতেছেন। এখানেই তাঁর খটকা লাগছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সেই কারণেই তিনি পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, নির্বাচন꧃ কমিশনের ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, সাধন পাণ্ডে পেয়েছেন ৬৭ হাজার ৫৭৭টি ভোট। অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে পেয়েছেন ৪৭ হাজার ৩৩৯টি ভোট।|
গত ৫ মে নির্বাচন কমিশনকেও চিঠি লিখেছেন বিজেপি প্রার্থী। চিঠিতে তিনি আবেদন জানিয়েছেন, গণনা সংক্রান্ত সব নথি যেন সংরক্ষণ করা হয়। নিয়ম অনুসারে, ফল প্রকাশের ৪৫ দিনের মধ্যে কোনও প্রার্থীকে পুনর্গণনার আবেদন করতে হয়। কিন্তু সেই নিয়ম মানেননি কল্যাণ। এর আগে পাণ্ডবেশ্বর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জিতেন্দ্র তিওয়ারিও পুনর্গণনার আবেদন করেন। তখনও নিয়ম মানা হয়নি। ইতিমধ্যে নন্দীগ্রামে পুনর্গণনার দাবিতে আদালতে করা মামলাটি এখন হাইকোর্টের বিচারাধীন। বিচারপতি কৌশি❀ক চন্দের এজলাসে এই মামলার শুনানি প্রক্রিয়া চলছে। যদিও এই মামলার শুনানির জন্য বিচারপতির বেঞ্চ নির্ধারণ নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।